আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

রানা প্লাজায় নিহত আফজালের পরিবার চলছে সংগ্রহ করা মুস্টির চালে

শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৩, সকাল ০৫:২৪

জানা গেছে, সাভারের রানা প্লাজায় ভবন ধ্বসের সময় সেখানে কর্মরত অবস্থায় অকাল মৃত্যুর কাছে হার মানেন স্বামী আফজাল হোসেন। পারভীন জানান, তার স্বামী আফজাল রানা প্লাজার ২য় তলার (বি-৩৬) নিউ ওয়াব বোটম লিমিটেডের স্টর লোডার হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সেখানে দায়িত্বরত অবস্থায় ধ্বসে যাওয়া ভবনের কংকৃটের নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। এসময় হৃদয়কে বুকে আগলে ধরে চাপা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পারভীন।

জানা যায়, অভাব অনটনের সংসারে সামান্য সুখের আশায় সন্তানকে বাড়িতে রেখে ২০১২ সালের শেষের দিকে ঢাকায় পাড়ি জমান তারা। স্বামী আফজাল হোসেন রানা প্লাজায় আর সে আল-মুসলিম গার্মেন্টসে কাজ সামান্য বেতনেই কাজ শুরু করেন। সন্তান হৃদয় তখনও নানীর কাছেই থাকতো।

অভিশপ্ত রানা প্লাজার ভবন ধবসের ২ দিন পর ক্ষত-বিক্ষত চেহারায় আফজালের লাশ খুঁজে পায় হতভাগী পারভীন। তখন বিভৎস্ব আফজালের শরীর জুড়ে ছিলো ইট বালু আর কংকৃটের আঘাতের চিন্থ। পারভীন জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর সংসার চলছে বাড়িতে বাড়িতে মুস্টির চাল তুলে। আগে নেয়া ঋণ এখন বাড়তে বাড়তে ৮৫ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। মহাজন এবং এনজিও থেকে নেয়া ঋনের টাকার সুদ প্রতিদিনই বাড়ছে। বৃদ্ধ শশুড় শাশুড়ীর দিকে তাকানো যাচ্ছে না। তারা খেয়ে না খেয়ে থাকছে।আট বছরের সন্তান হৃদয়ের করুণ আকুতি। স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেও তার বইপত্র, কাপড় চোপড় কিনে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মাঝে দুটি ঈদ গেছে, কোন ধরনের নতুন জামাকাপড় কেনা তো দূরের কথা, ঈদের দিন পেট পুড়ে খাওয়াও হয় নি তাদের। অন্যের বাড়িতে কাজ এবং বাপের বাড়ি থেকে টানাটানি করে কিছু এনে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের দিন। সরকারী সহযোগিতা বলতে দাফন কাজের সময় ২০ হাজার টাকা পেয়েছি।

এ ব্যাপারে রংপুর জেলা ত্রান ও দুর্যোগ কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহতদের প্রতিজনকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ১ লাখ করে টাকা দেয়ার জন্য নিহতের ব্যাপারে খোঁজখবর ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি যাছাই বাছাই করে তালিকা চাওয়া হয়। আমরা সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। এখন বাকিটা উপরের ব্যাপার।

মন্তব্য করুন


 

Link copied