পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় জুয়েল ও তার সহযোগীরা মিলনকে পিটিয়ে আহত করার পর ছুরিকাঘাত করে। দ্রুত উদ্ধার করে ভবানীগঞ্জ ক্লিনিকে নেয়ার পর মিলন মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ আরও জানায়, একই গ্রামের আসির উদ্দিনের ছেলে জুয়েল রানা (২৫) ও তার কয়েকজন সহযোগী বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রি করছিলেন। ঈদের দিন মিলন মাদক বিক্রি বন্ধে জুয়েলকে চাপ দেন। মাদক বিক্রি বন্ধ না করলে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেয়ারও হুমকি দেন মিলন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে জুয়েল ও মিলন পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে মিলন ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে গ্রামের ফজলুর রহমানের চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলেন। এসময় সহযোগীদের নিয়ে সেখানে হাজির হয় জুয়েল। কোনো কথা না বলেই জুয়েল ও তার সহযোগীরা মিলনকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে জুয়েল রানা তার কোমর থেকে ছুরি বের করে মিলনের পেটে কয়েকবার আঘাত করেন। এতে মিলন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় এলাকার লোকজন ছুটে আসলে জুয়েল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।এলাকাবাসী দ্রুত উদ্ধার করে মিলনকে নিকটস্থ ভবানীগঞ্জ ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগমারা থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, ঘাতক জুয়েল পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে মিলনের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই মিলনের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে জুয়েল রানাসহ সাতজনের নামে হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ জুয়েলসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।