ডেস্ক: ঈদ উপলক্ষে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য দেশের একমাত্র কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালুর আটদিন পর ফের বন্ধ করতে বাধ্য হল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) কতৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে কয়লার অভাবে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ করা হয়।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে লো ভোল্টেজ সমস্যা এড়াতে গত ২০ আগস্ট দুপুর ২.২০ মিনিটে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২ নম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে কয়লা প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুনরায় চালু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানায়।
এর আগে ২২ জুলাই রাত ১০টা ২০ মিনিটে জ্বালানি সংকটে পড়ে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ও ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার দু’টি ইউনিট রয়েছে। কেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনে থাকলে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার ২শ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) আব্দুল হাকিম সরকার জানান, বড়পুকুরিয়া খনির ফেইজ উন্নয়নকালীন প্রাপ্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লার সরবরাহ পাওয়ায় ২ নম্বর ইউনিটটি সাময়িকভাবে চালু করা হয়েছিল। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কতৃপক্ষ কয়লা সরবরাহ না পারায় মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে তা পুনরায় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কয়লা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে উৎপাদন শুরু হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এক লাখ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া খনিতে উৎপাদনে যেকোনো সমস্যা মোকাবেলায় আপদকালীন মজুত হিসেবে কয়লা বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে।