ডেস্ক: অধিক বৃষ্টি শুরু হলে রাস্তা-ঘাটে পানি জমে। পোকামাকড়ের উৎপাত বাড়ে। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগব্যাধির ঘটনাও বেড়ে যায়।
তবে প্রাচীনকাল থেকে বৃষ্টি নিয়ে কবি-সাহিত্যিকরা বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন। আর সেই লেখালেখির মূল বিষয় হচ্ছে প্রেম।
“আজ সকাল থেকে খুব রোম্যান্টিক ওয়েদার”— বৃষ্টির দিনে এই কথাটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম কত মানুষ যে তার প্রিয়জনদের বলে এসেছেন তার ইয়ত্তা নেই। এখন প্রশ্ন হল, কেন বৃষ্টি পড়লেই রোম্যান্টিক লাগে বা প্রেম করতে ইচ্ছে হয়?
২০১৫ সালে, দু’টি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকনমিক রিসার্চ-এর জার্নালে। ওই রিপোর্টে বলা হয় যে তাপমাত্রার উপরে অনেকটা নির্ভরশীল মানুষের শরীরের হরমোন মাত্রা ও সেক্স ড্রাইভ।
তাপমাত্রা যদি প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি হয়, তবে তা পুরুষ এবং নারী উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
আবার তাপমাত্রা খুব কম হলেও, মোটামুটি ভাবে ৫ ডিগ্রির কম হয়ে গেলেও একই বিষয় ঘটে। এখন যদি শীতের রাতে প্রবল বৃষ্টি পড়ে তাহলে কিন্তু খুব একটা আসে না।
আসলে বৃষ্টি পড়া না পড়াটা আপেক্ষিক। আসল কথা হল মন ভাল থাকা এবং ভাল থাকার যে হরমোনগুলি শরীরে নিঃসৃত হয়, সেই হরমোনের নিঃসরণ। প্রবল গরমের পরে যখন বর্ষা এসে তাপমাত্রা অনেকটা সহনীয় করে তোলে, তখন শরীরে যে স্বস্তিটা বোধ হয়, সেটা অক্সিটসিন জাতীয় হরমোনের হাতযশ।
আর এই অক্সিটোসিনকেই মূলত প্রেমের হরমোন বলে ধরা হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে উলটো ব্যাপারটাও ঘটে। বৃষ্টি পড়লে অনেকের ডিপ্রেশনও হয়। সেটাও হরমোনজনিত।
এখন মুড ভাল থাকুক বা খারাপ, প্রেম এবং যৌনক্রিয়া মানুষকে রিল্যাক্সড করে। তাই বৃষ্টি পড়লে যদি মন ভাল থাকে, তাহলে প্রেম করার ইচ্ছা জাগাটা যেমন স্বাভাবিক, বৃষ্টি পড়লে যদি ডিপ্রেশন হয়, সেক্ষেত্রেও কোনও সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়ে ডিপ্রেশন দূর করার ইচ্ছেটা প্রবল হয়।
এর উপরে রয়েছে সাহিত্য এবং পপুলার কালচারে বৃষ্টি নিয়ে রোম্যান্টিক রেফারেন্সের প্রভাব। এই দুয়ে মিলেই বৃষ্টিদিনে প্রেম করার ইচ্ছেটা জোরদার হয় আর কী!