ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিশেষ আদালত বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার পরিবর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেখানে বন্দি, সেই পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বসতে যাচ্ছে। বুধবার রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে এই মামলার শুনানি হবে।
মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য ৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দিন। সে অনুযায়ী বুধবার কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে এ মামলার শুনানি হবে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার পর থেকে তিনি অন্য কোনো মামলায় আর হাজিরা দেননি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে। বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। এ কারণে কারাগারের ভেতরেই আদালত বসবেন।
তিনি জানান, তাদের (দুদকের) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কোনো সময় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
তবে একে ‘আইন পরিপন্থী’ বলেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, কারাগারের ভেতর আদালত করা আইনের পরিপন্থী, এটা হতে পারে না।
বুধবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। মামলাটি যুক্তিতর্ক পর্যায়ে শুনানির জন্য রয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন—খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।