আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

“যা ইচ্ছা সাজা দিতে পারেন, বারবার আসতে পারব না”

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, দুপুর ০৪:২১

ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, এখানে ন্যায়বিচার নেই। তাই যা ইচ্ছা সাজা দিতে পারেন। আমি অসুস্থ, তাই বারবার আদালতে আসতে পারব না। আর এভাবে বসে থাকলে আমার পা ফুলে যাবে। আমার সিনিয়র কোনো আইনজীবী আসেনি, এটা জানলে আমি আসতাম না। বুধবার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। এর আগে মামলা পরিচালনার জন্য ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান বেলা ১১টার দিকে আদালতে আসেন। খালেদা জিয়াকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হুইলচেয়ার করে আদালতে হাজির করা হয়। এই সময়ে তার পরনে ছিল বেগুনি রঙের শাড়ি। আদালতে উপস্থিত হওয়া ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তাফা খান খালেদা জিয়ার পক্ষের কোনো আইনজীবী দেখতে না পেয়ে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, আমি এখানে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে এসেছি। খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনা করা কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হননি। রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, কারাগারে আদালত বসার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন গত রাতে আসামিপক্ষের এক আইনজীবীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটা যথাযথভাবে আসামিপক্ষকে জানানো হয়নি। তাই আদালতকে সার্বিক বিবেচনায় মামলার নতুন তারিখ ধার্য করতে অনুরোধ জানাই। আর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়। এরপর থেকে অসুস্থতার কারণে তাকে এখন পর্যন্ত আদালতে হাজির করা যায়নি। তার অসুস্থতা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন যথাযথভাবে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অন্য আইনজীবীদেরও আজকের শুনানির বিষয়ে জানানো হয়েছে। এমনকি বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন অস্থায়ী আদালতেও প্রজ্ঞাপন টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি আদালতের কার্যক্রম শুরুর আরজি জানান। শুনানি শেষে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামিদের জামিন ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল রাখেন এবং ওই দু'দিন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালত থেকে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, আমার কোনো সিনিয়র আইনজীবী আদালতে ছিল না। তাদের যথাযথভাবে নোটিশ দেওয়া হয়নি। যে প্রজ্ঞাপন গত রাতে করা হয়েছে, সেটা সাত দিন আগে কেন হয়নি? আদালতকে জানিয়েছি, আমি অসুস্থ বলে বারবার আসতে পারব না।

মন্তব্য করুন


 

Link copied