স্টাফ রিপোর্টার: আশিকুন নাহার চৌধুরী টুকটুকি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে টুকটুকি নামে বেশি পরিচিত। বাবা -মা দু’জনেই সাবেক প্রধান শিক্ষক। বাসা রংপুরের সদরের রাধাকৃষ্ণপুর ১২নং ওয়ার্ডে।
টুকটুকি ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হন। সদ্য মাস্টার্স শেষ করে ভর্তি হচ্ছেন এমফিল কোর্সে। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নাম লেখান ছাত্রলীগে। সময়ের সাথে সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী হিসাবে। মিছিল- মিটিং এ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া আশিকুন নাহার চৌধুরী টুকটুকি ২০১৪ সালে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। ২০১৭ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে একমাত্র নারী প্রার্থী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন।
নারী নেতৃত্বে বিশেষ ভূমিকা রাখায় তরুণ রাজনীতিবিদ আশিকুন নাহার চৌধুরী টুকটুকিকে ‘বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন থেকে শ্রেষ্ঠ নারী সম্মাননা- ২০১৭’ প্রদান করা হয়।
জানাগেছে, প্রতিনিয়ত টুকটুকি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সক্রিয় ভাবে অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক কর্মসূচীর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, শুধু ক্যাম্পাসেই নয়, উত্তরবঙ্গের ছাত্র রাজনীতিতে টুকটুকি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। ছাত্র রাজনীতিতে টুকটুকির মত মেয়েদের ভূমিকা এ অঞ্চলে নারী নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করবে। এ রকম ত্যাগী মানুষদের মূল্যায়ন করা দরকার। আমরা আশাকরি আগামীতে তিনি ছাত্রলীগের আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পাবেন।
আশিকুন নাহার চৌধুরী টুকটুকি উত্তরবাংলা ডটকমকে বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের মেয়েরা অনেকটা পিছিয়ে। পারিবারিক ও সামাজিক অনেক বাধা বিপত্তির কারণে কেউ রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চায় না। আমি সেই ধারণাকে বদলে দিতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ণে কাজ করে যাচ্ছেন। নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার এলাকার মানুষ আমি। উত্তরবঙ্গের মেয়েরা যাতে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে সেটাই আমার উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে জীবনের শেষ পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই।