ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়/শামীম হোসেন বাবু নীলফামারী ৯ সেপ্টেম্বর॥ আঞ্চলিক মহাসড়কের নীলফামারীর জলঢাকার টেঙ্গনমারী থেকে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাজার পর্যন্ত সড়কের শুন্য হয়ে পড়ছে পুরনো গাছগুলো। ইতোমধ্যে প্রায় দুইশত মূল্য গাছ রাতের আধারে কেটে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। ওই চক্রের গাছকেটে নিয়ে যাওয়া কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।
আজ রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে উক্ত আঞ্চলিক সড়কের দশ কিলোমিটার পথের দুই ধারে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত মূল্যবান পুরনো গাছ রয়েছে। গাছগুলো রাতের আধারে সংবদ্ধ একটি চক্র প্রথমে ডাল কেটে নেয়। এরপর গাছের গোড়ার ছাল তুলে শিকড় কেটে দিয়ে গাছগুলো মেরে ফেলে। গাছগুলো কিছুটা শুকনো হওয়ার পর রাতের আধারে গাছগুলো সহজে কেটে নিয়ে যায়।
এদিকে ওই রাস্তার দুইধারে বিদ্যুতের ১০ কিলোমিটার লাইন সম্প্রসারন কাজ চলছে। ফলে বিদ্ধমান গাছগুলোর ডালপালাগুলো ছেটে দিয়েছে উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ফলে সংবদ্ধ গাছপাচারকারীরা গাছগুলো অনায়াসে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর মতে এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক পুরানো বড়জাতের গাছ কেটে নিয়ে যায় চক্রটি।
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আব্দুস সালাম বলেন, কিশোরীগঞ্জ টেঙ্গনমারী সড়কের দুইধারে ৩০/৩৫ বছর আগে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির শতশত মুল্যবান গাছ রয়েছে। কাগজপত্র জটিলতার কারনে গাছগুলো নিলামে বিক্রি করা যাচ্ছেনা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ওই সড়কে রাতের আধারে গাছ কেটে পাচার হচ্ছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে গাছ চোরদের চিহিৃত করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
