আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

কুড়িগ্রামের নির্মাণ কাজ সমাপ্তির ৩ মাসের মধ্যেই ভাঙ্গনের কবলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বিকাল ০৭:২৬

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ডাংরারহাটে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর বামতীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ কাজ সমাপ্তির ৩ মাসের মধ্যে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। বাঁধের তীরবর্তী এলাকার জনগনের দিন কাটছে ভাঁঙ্গন আতঙ্কে । কুড়িগ্রাম পাউবো কর্তৃপক্ষ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এরআগে এলাকাবাসী ৫৬ হাজার স্যান্ড সিমেন্ট গানি ব্যাগ স্থাপন না করেই অতিরিক্ত প্রায় অর্ধকোটি টাকা বিল উত্তোলনের বিষয়ে পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডাংরারহাট আদর্শ গুচ্ছ গ্রামে তিস্তা নদীর বামতীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ১০৩.৩৫০ কিঃমিঃ থেকে ১০৩.৯০০ কিঃমিঃ পর্যন্ত ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার কাজ ঢাকাস্থ ঠিকাদার তাজুল ইসলাম (কুড়ি-০৮/২০১৪-১৫ প্যাকেজের আওতায়) টেন্ডারে প্রাপ্ত হয়ে গত ২০১৫ সনের ২৪ মে কাজ শুরু করেন। চলতি বছর ৩০ জুনের পূর্বে কাজ সমাপ্তি দেখিয়ে এর চুড়ান্ত বিল উত্তোলন করা হয়। এদিকে ষ্টিমেট অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭৬টি স্যান্ড সিমেন্ট গানি ব্যাগের স্থলে শুধুমাত্র ১ লক্ষ ১৩ হাজার স্যান্ড সিমেন্ট গানি ব্যাগ স্থাপন করা হলেও গত জুন ক্লোজিংয়ের সময় ১লক্ষ ৭০হাজার ৫৩৯টি স্যান্ড সিমেন্ট গানি ব্যাগ স্থাপন দেখিয়ে কাজ সমাপ্তির মাধ্যমে পাউবোর এসও আবুল কালামের সাথে যোগ সাজস করে ঠিকাদার অতিরিক্ত ৫৭হাজার ৫৩৯টি স্যান্ড সিমেন্ট ব্যাগের বিল উত্তোলনের বিষয়ে পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী সহ বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসী অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফলাতির কারনে শুরু থেকেই ষ্টিমেট বহির্ভূত ভাবে নি¤œমানের কর্দম্যাক্ত বালু দিয়ে কাজ শেষ করার কথা উল্লেখ করা হয় । অভিযোগকারী মাহবুবার রহমান ও হাছান আলী জানান,ষ্টিমেট অনুযায়ী স্যান্ড সিমেন্ট গানি ব্যাগ তৈরীর ক্ষেত্রে ৮ঃ১ সিমেন্ট ও বালু ব্যবহারের কথা থাকলেও সেখানে ২০ঃ১ সিমেন্ট-বালু ব্যবহার করে নি¤œমানের কাজ করা হয়েছে । মাহফুজার ,রহিমুদ্দিন ও সফিকুল সহ অনেকে অভিযোগ করেন,স্যান সিমেন্ট গানি ব্যাগে ১ থেকে ১.৫ এফ,এম বালু ব্যাবহারের কথা থাকলেও ওই তিস্তা নদী থেকে উত্তোলন করা নি¤œমানের পলি মাটি যুক্ত বালু ব্যাবহার করে দায়সারা ভাবে কাজ করায় বাঁধের তীর সংরক্ষনে ব্যবহৃত স্যান্ড সিমেন্ট গানি ব্যাগের বস্তা গুলো দিনদিন ছিড়ে ও খসে পড়ায় এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে । সরেজমিনে দেখা গেছে,বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটির ১০৩.৩৫০ কিঃমিঃ থেকে ১০৩.৯০০ কিঃমিঃ বাঁধের মাঝামাঝি স্থানে পশ্চিমাংশের প্রায় ৫০ থেকে ৭০ ফিট বাঁধ নদীতে ধ্বসে পরেছে। অল্প দিনের মধ্যেই স্যান্ড সিমেন্ট গানি ব্যাগের বালু ও সিমেন্ট খসে খসে পরছে। এতে করে পুরো বাঁধটি হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আবুল কালামের সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। ঠিকাদার তাজুল ইসলামের ০১৭৯০-২৭৪১৪৩ মোবাইল নন্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, তবে কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার তাজুল ইসলাম দেশের বাইরে (আমেরিকায়) রয়েছেন বলে জেনেছি। ভাঁঙ্গন রোধের বিষয়ে তিনি জানান,আমাদের ষ্টকে থাকা ১হাজার জিও ব্যাগ দিয়ে আপাতত ভাঁঙ্গন রোঁধের কাজ চলছে,শুস্ক মৌসুমে আবারও বাঁধের কাজ হবে। নি¤œমানের কাজ ও অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী । #

মন্তব্য করুন


 

Link copied