রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৩, বিকাল ০৫:২৯
২০১০ সালেও নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশে এসে ৪-০ ম্যাচে সিরিজ হেরেছিল। সেই থেকে হোয়াইটওয়াশের বাংলা অনুবাদটা করে নিয়েছিল মুশফিকরা। আবার সেই নিউজিল্যান্ড সামনে। আবার সেই বাংলাওয়াশ। তিন বছরের ব্যাবধানে নিউজিল্যান্ডকে আবার সিরিজের সব কটি ম্যাচে কুপোকাৎ করলো বাংলার সত্যিকারের সোনার ছেলেরা। ৩০৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দারুণ।তামিমের অনুপস্থিতিটা টের পেতেই দেননি দু ওপেনার শুভ ও জিয়া।তামিমের বদলে জিয়াকে ব্যাটসম্যান হিসেবে একাদশে সুযোগ দেয়াটা যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না সেটা প্রমাণ করেন ডানহাতি এ হার্ড হিটার।তবে ঝড়ো গতিতে ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়া শুভকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকা জিয়ার ইনিংসটি দীর্ঘায়িত করতে দেননি ম্যাকলেনাগান।বাংলাদেশ ইনিংসের অষ্টম ওভারে জিয়াকে ২২(২০)রানে ফিরিয়ে দিয়ে ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন তিনি।জিয়ার বিদায়ের পর মমিনুলকে সাথে নিয়ে দারুণ গতিতে রান তুলতে থাকেন শুভ।৪৮ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন শুভ।তবে শুভ-মমিনুল জুটি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ার আগেই মমিনুলকে সাজঘরে ফেরান ডেভচিচ।দলীয় ১২৬ রানের মাথায় ডেভচিচের অভিষেক ওয়ানডে উইকেটে পরিণত হওয়ার আগে ৩২ রান করেন মমিনুল।৩ রানে ব্যবধানে বাংলাদেশের ভরসার প্রতীক মুশফিক আউট হয়ে গেলে কিছুটা চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ।কিন্তু নাঈমকে সাথে নিয়ে সে চাপ কাটিয়ে উঠে জয়ের পথে ভালই এগুতে থাকে শুভ।তবে শামসুরের অদম্য যাত্রার ইতি টানেন নতুন কিউই সেনসেশন এন্ডারসন।সবাই যখন শুভর সেঞ্চুরি উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই শতক থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে রঞ্চির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শুভ।৭ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো ছিল শুভর ৯৬ রানের ইনিংসটি।শুভর বিদায়ের পর ২৮৯ রানের মধ্যে নাঈম ও মাহমুদুল্লাহ ফিরে বাংলাওয়াশ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরী হয়েছিল।কিন্তু সব শঙ্কা দূর করে ৫ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশের ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন নাসির। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন দু কিউই ওপেনার ডেভচিচ ও ল্যাথাম।নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ১৪ তম ওভারে ডেভচিচকে সাজঘরে ফিরিয়ে ৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন মাহমুদুল্লাহ।ব্যক্তিগত ৪৬ রানে ডেভচিচ ফিরে যাওয়ার পর অল্পরানের ব্যবধানে এলিয়ট ও ল্যাথামকেও হারায় নিউজিল্যান্ড।তবে এরপর সিরিজে প্রথম কিউই দলে সুযোগ পাওয়া মানরোকে সাথে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন অভিজ্ঞ টেইলর।১৩০ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৮৫ রানে মানরো ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং চালিয়ে যান টেইলর।মূলত তার ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ভর করেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩০৭ রানের বড় পুঁজি জড়ো কিউইরা।টেইলর ৯৩ বলে ৩ ছয় ও ৯ চারে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন।বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদুল্লাহ ৩৬ রানের বিনিময়ে দু্ই উইকেট শিকার করেন।এছাড়াও রুবেল,সোহাগ ও রাজ্জাক একটি করে উইকেট নেন। বাংলাদেশের লড়াকু সৈনিকদের উত্তরবাংলা ডটকম এর পক্ষ থেকে প্রানঢালা অভিনন্দন।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
প্রেসক্লাব রংপুর আয়োজিত মিডিয়া কাপের শিরোপা জিতল টিসিএ
বেরোবিতে উত্তরবাংলা ডটকম আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
সাকিব বাদ, তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত
নাটকীয়তার ম্যাচে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ চ্যাম্পিয়ন