রনজিৎ দাস: রংপুরের পীরগঞ্জে গণ ধর্ষনের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মদনপুর গ্রামের আখি আক্তার (২০) নামের ওই ধর্ষিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। পুলিশ এ ঘটনায় আসামীদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে গতকাল বুধবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত নেত্রকোনা জেলার মদনপুর গ্রামের তামিম মিয়ার স্ত্রী আখি আক্তার পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে পীরগঞ্জ উপজেলার খয়েরবাড়ী গ্রামের মৃত. নয়া মিয়ার পুত্র এনছার আলী নেংড়ার আমন্ত্রনে আখি আক্তার গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর এনছার আলীর বাড়ী আসে। এখানে এনছার আলী ও তার স্ত্রীর সহায়তায় অপরিচিত ৩/৪ জন লোক তাকে ধর্ষন করে। আখি আক্তার কৌশলে পর দিন ১৫ই সেপ্টেম্বর পালিয়ে অপর ধর্ষক মিঠুর সহায়তায় পীরগঞ্জ সদরস্থ ধনাশলা গ্রামের মৃত. আমির উদ্দিনের পুত্র এন্তাজ আলীর বাড়ীতে গেলে সেখানেও এন্তাজ আলী তাকে ধর্ষন করে। পরের দিন ১৬ই সেপ্টেম্বর পুনরায় ধর্ষিতাকে এনছার আলীর বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষনের ঘটনা ঘটায় এবং আসামী এনছার আলী ,আমিনুল, ও এনছার আলীর স্ত্রী জয়নব বেগম তাকে মারপিট করে হাত-পা বেঁধে গভীর রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে এনছার আলীর বাড়ীর পাশর্^বর্তী আখ ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং বস্তায় ঢোকানোর চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীরা তাকে উদ্ধার করার পর আখি আক্তারের পূর্ব পরিচিত পাশর্^বতী মিঠাপুকুর উপজেলার চাঁদনীপুর গ্রামের মশিউর রহমানের পুত্র নুর আলম তাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পুলিশ এ ঘটনায় আসামী খয়েরবাড়ী গ্রমের এনছার আলী তার স্ত্রী জয়নব বেগম ধনশলা গ্রামের বাসিন্দা মাদরাসা শিক্ষক এন্তাজ আলী ও খোলাহাটী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র মিষ্টি ব্যবসায়ী মিঠু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।