স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী ৩০ সেপ্টেম্বর॥ না-আমি বাল্য বিয়েতে করবো। আমি শিক্ষা দিক্ষায় বড় হয়ে সরকারী চাকুরী করতে চাই। তারপর বিয়ে করবো। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী মনি আক্তারের এ কথা গুলো কোনভাবেই মেনে না নিয়ে তার অভিভাবকরা জোড় করে বাল্য বিয়ের আয়োজন করে। মনি আক্তার উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়াগ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।
গতকাল শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ছিল তার বিয়ের অনুষ্ঠান। বরযাত্রী আসবে একই ইউনিয়নের দক্ষিন গোমনাতী গ্রাম হতে। বর হলো ওই গ্রামের মফিজার রহমানের ছেলে আব্দুল মজিদ (২৫)। বিষয়টি ওই ছাত্রী গোপনে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে পৌছে দেয়। শিক্ষকরা ছুটে আসেন ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে ফাতেমার কাছে। এরপরই শুরু হয় বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান প্রতিরোধ।
ইউএনওর হস্তক্ষেপে ছাত্রীটির অভিভাবকরা ক্ষমা চেয়ে মুচলেকার মাধ্যমে তাদের মেয়ের বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
স্কুলছাত্রী মনি তার বাল্য বিয়ে বন্ধে মহাখুশী হয়ে জানায় ইউএনও ম্যাডাম ও আমার স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগীতায় আমি আমার বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করতে পেরেছি।ফিরে পেয়েছি লিখাপড়ার জীবন। গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এজাবুল হক বলেন আমরা বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে স্কুলে শিক্ষার্থীদের সময় সময় বলে থাকি। আজ আমার স্কুলের ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধে ওই ছাত্রীটি নিজেই আমাদের সহযোগীতায় প্রতিরোধে সক্ষম হলো।