আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

ভাতিজার পরিবর্তে চাচা গ্রেফতার!

মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ১২:১৫

সোমবার রাত ৯টার দিকে ডোমার বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাধারন মানুষজনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ডোমার জুড়ে গ্রেফতার আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ডোমার বিদ্যুৎ অফিসের অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে এলাকার মানুষজনকে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। সুত্র মতে গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে ডোমার উপজেলা শহরে বাজার মোড়ে ১১কেভি বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের তার ছিড়ে পরে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বাজারের তিনটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হাবিব গার্মেন্টস, আনসারী গার্মেন্টস ও আরিফুল ভ্যারাইটিস স্টোরের প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভুত হয়। এতে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী তাৎক্ষনিকভাবে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সমাবেশ করে সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়। এর পর খন্ড খন্ড মিছিল করে উপজেলা সড়কে অবস্থিত পিডিবি’র কার্যালয় ঘেরাও ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিচার দাবি করে শ্লোগান দেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিক একই ভাবে একই স্থানে চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ১১ কেভি বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের তার ছিড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে সুমন চন্দ্র দাশ (২৫) নামের এক মুচি নিহত ও আহত হন আরো ১১ জন। এরও প্রতিবাদ করে এলাকাবাসী।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস ভাংচুরের অভিযোগ এনে ডোমার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আবাসিক প্রকৌশলী মনোরঞ্জন রায় বাদি হয়ে শুক্রবার রাতেই ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১)।ওই মামলায় ডোমার উপজেলা সেচ পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২শত ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় পুলিশ গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব কে না পেয়ে তার বৃদ্ধ চাচাকে গ্রেফতার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডোমারের অনেকেই জানান ক্ষমতাসীন দলের বেশ কিছু নেতা এ ঘটনা নিয়ে ফায়দা লুটতে শুরু করেছে। তারা বিভিন্নজনকে এই মামলায় ফাসিয়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। ফলে ডোমারে গ্রেফতার আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে গোলাম কুদ্দুস আউয়ুবের সাথে কথা বলা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন ঘটনার সাথে আমি জড়িত ছিলামনা। অথচ আমাকে মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে। আর আমাকে না পেয়ে এলাকার বেশ কিছু ক্ষমতাসীন দলের নেতা ফায়দা লুটতে আমার নিরাপরাধ বৃদ্ধ চাচাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করালো।

এ ব্যাপারে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কফিল উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি বলেন মামলার অজ্ঞাত আসামীদের মধ্যে আমির উদ্দিন ওরফে বাবু লাল (৬৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied