আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ বছরেও নির্মিত হয়নি প্রধান প্রবেশদ্বার

শুক্রবার, ১২ অক্টোবর ২০১৮, দুপুর ১১:৩৯

ফরহাদুজ্জামান ফারুক: উত্তরের বিভাগীয় নগরী রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আজ এক দশক পূর্ণ হলো। বহুল কাঙ্খিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রংপুরবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে এখানে নির্মিত হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশদ্বার। অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন অব্যহত থাকার পরও প্রধান প্রবেশদ্বার নিমার্ণ না হওয়ায় কতৃপক্ষের উদাসিনতাকে দায়ী করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য বর্তমানে চারটি ফটক রয়েছে। ৭৫ একরের এই সুবিশাল ক্যাম্পাসের দেবদারু রোডে প্রথম গেট, পার্কের মোড় সংলগ্নে দ্বিতীয় গেট, বকুলতলা রোডের গেটটিকে তৃতীয় এবং ভিসি রোডে রয়েছি চতুর্থ গেটচি। শুধু নাম মাত্র রয়েছে এই গেট চারটি। দীর্ঘ ১০ বছরে চারটির মধ্যে একটিকেও প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে নির্মাণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। শুধু মাত্র ভর্তি পরীক্ষা আসলেই আগত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গেট নম্বর ব্যবহার করা হয়। নির্দিষ্ট প্রধান ফটক নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ঢাকা-কুড়িগ্রাম ও রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া স্মৃতিবিজড়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান। শিক্ষার্থী ছাড়া বাইরে থাকা আসা অনেকেই এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বুঝতে পারেন না। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকই বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচয় প্রকাশ করে। অথচ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তা নির্মাণ নিয়ে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার গ্রামের থেকে আসা এক ছোট ভাই এখানে ঘুরতে বলল ভিতরে প্রবেশ করার আগে বুঝতে পারছিলাম এটা বিশ্ববিদ্যালয়। বাইরে দুর থেকে বড় বড় ভবন দেখে মনে করছিলাম এটা কোন আবাসিক এলাকা। একটা দেখার মত ফটক থাকলে বেশ ভালো হতো। অন্যদিকে লোক-প্রশাসন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম বকুল বলেন, দেখতে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১০ বছর হলো। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকহীন ভাবতেই খারাপ লাগে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফ হোসেন পাটোয়ারী জানান, বর্তমান উপাচার্য স্যার প্রধান ফটকের ব্যাপারটাসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথেই দেখছেন। প্রধান ফটক যে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতির জন্য অতিব জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ন বিষয় তা নিয়ে আমাদের কোন দ্বিমত নেই। সামনের প্রকল্পে এটা গুরুত্বের সাথেই দেখা হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে এই বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৬ অনুষদের অধীনে ২১ টি বিভাগ চালু করা হয়েছে। প্রায় ১৫৫ জন শিক্ষকের শিক্ষাদানে এখানে অধ্যায়ন করছেন প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী। প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে প্রায় ৪ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি রয়েছেন ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied