বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৩, বিকাল ০৫:০৩
মঙ্গা পিড়ীত উত্তরাঞ্চলে ভারী বা বড় কোনো শিল্প কারখানা না থাকায় এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ দিনে আনে দিনে খায়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে অহরহ হরতালের কারণে এসব মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হরতালের বাইরের একদিনের আয় দিয়ে তাদের চলতে হয় কয়েকদিন। অনেকে আবার অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে। তেমনি এক ব্যক্তি ঠাকুরগাঁওয়ের রেজাউল করিম। বয়স প্রায় ৬৮ বছর। পেশায় মাটিকাটা শ্রমিক। এর আগে কৃষি কাজ করতেন নিজের জমিতে। কিন্তু একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পড়ায় একমাত্র সম্বলটুকুও শেষ করে ফেলেছেন তিনি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে বৃদ্ধ বয়সেও সংসার চালানোর রাস্তায় বের হয়েছেন। কথা হয় রেজাউল করিমের সঙ্গে। তিনি আপসোসের সঙ্গে জানান, হরতালের দিন শ্রম বিক্রি করা যায় না। গতকাল কাজ না পেয়ে বাসায় ফিরে যেতে হয়েছে। আজ ও কাজ পাইনি। এ রকম করলে খাব কি? যে দল হরতাল ডাকে তারা কী জানেনা এদেশে আমার মতো অনেক গরীব মানুষ আছেন। তারা কিভাবে সংসার চালাবে। রেজাইল করিম আরও বলেন, এভাবে হরতাল চললে আমরা গরীব মানুষ না খেয়ে মারা যাব। অন্যদিকে, চলতি আমন ধান কাটা ভাল করে শুরু না হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরাও বেকার হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যারা অন্যে রাড়িতে কাজ করেন তারা। কারণ হরতালের কারণে তারা কাজ পাচ্ছে না। সদর উপজেলার ভুল্লী এলাকার কৃষক জলিল (৪৫) জানান, হরতালের কারণে কয়েকদিন ধরে বাড়িতে বসা। কেউ কাজে ডাকে না। তাই বসে বসে অলস সময় কাটাতে হচ্ছে। মঙ্গলবার হরতালের দিন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মটরা গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ এই হরতাল গরিব মানুষকে শেষ করে দিল। কোন সরকার গরিব মানুষের কথা ভাবে না। শুধু কৃষক কিংবা পরিবহন চালকই নয় হরতালের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষকে।
মঙ্গা পিড়ীত উত্তরাঞ্চলে ভারী বা বড় কোনো শিল্প কারখানা না থাকায় এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ দিনে আনে দিনে খায়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে অহরহ হরতালের কারণে এসব মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হরতালের বাইরের একদিনের আয় দিয়ে তাদের চলতে হয় কয়েকদিন। অনেকে আবার অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে।
তেমনি এক ব্যক্তি ঠাকুরগাঁওয়ের রেজাউল করিম। বয়স প্রায় ৬৮ বছর। পেশায় মাটিকাটা শ্রমিক। এর আগে কৃষি কাজ করতেন নিজের জমিতে। কিন্তু একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পড়ায় একমাত্র সম্বলটুকুও শেষ করে ফেলেছেন তিনি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে বৃদ্ধ বয়সেও সংসার চালানোর রাস্তায় বের হয়েছেন।
কথা হয় রেজাউল করিমের সঙ্গে। তিনি আপসোসের সঙ্গে জানান, হরতালের দিন শ্রম বিক্রি করা যায় না। গতকাল কাজ না পেয়ে বাসায় ফিরে যেতে হয়েছে। আজ ও কাজ পাইনি। এ রকম করলে খাব কি? যে দল হরতাল ডাকে তারা কী জানেনা এদেশে আমার মতো অনেক গরীব মানুষ আছেন। তারা কিভাবে সংসার চালাবে।
রেজাইল করিম আরও বলেন, এভাবে হরতাল চললে আমরা গরীব মানুষ না খেয়ে মারা যাব।
অন্যদিকে, চলতি আমন ধান কাটা ভাল করে শুরু না হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরাও বেকার হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যারা অন্যে রাড়িতে কাজ করেন তারা। কারণ হরতালের কারণে তারা কাজ পাচ্ছে না।
সদর উপজেলার ভুল্লী এলাকার কৃষক জলিল (৪৫) জানান, হরতালের কারণে কয়েকদিন ধরে বাড়িতে বসা। কেউ কাজে ডাকে না। তাই বসে বসে অলস সময় কাটাতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার হরতালের দিন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মটরা গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ এই হরতাল গরিব মানুষকে শেষ করে দিল। কোন সরকার গরিব মানুষের কথা ভাবে না।
শুধু কৃষক কিংবা পরিবহন চালকই নয় হরতালের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষকে।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
সোনার দামে সব রেকর্ড ভাঙল
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত- প্রধানমন্ত্রী
২১ বছর নানান ধরনের খেলা চলেছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার