আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল      

 width=
 

ছেলে ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মারপিটে বৃদ্ধা মা আহত ॥ থানায় মামলা দায়ের

বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৩, রাত ১১:৫৫

খায়রুল ইসলাম, গাইবান্ধা ॥ এমন ছেলের জন্ম যেন আর কারো ঘরে না হয়, ছেলের মারপিটে আহত এলিসা বেওয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে জানালেন সাংবাদিকদের। গাইবান্ধা শহরের পলাশ পাড়ায় এলিসা বেওয়া আহত হয়েছেন তারই গর্ভজাত ছেলে হাবিবুর রহমানের মারপিটে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা শহরের পলাশ পাড়ার মৃত: হাসেন আলীর স্ত্রী এলিসা বেওয়া দুই মেয়েসহ মরহুম স্বামীর বসতভিটায় বসবাস করে আসছেন। তার বড় ছেলে হাবিবুর রহমান(৪৫) পিতার রেখে যাওয়া জায়গা-জমি, বসতভিটার জাল দলিল তৈরি করে মা-বোনকে উচ্ছেদ করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে তাদের উপর নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এর প্রতিবাদ করলে সে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং মা-বোনকে প্রায়ই মারপিট করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে থাকে। মায়ের উপর ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে হাবিবুরকে প্রতিবেশি ও জ্ঞাতি গোষ্ঠীর মধ্যে আপন চাচা আবু হোসেন বাদশা এবং অন্যরা বকাঝকা করতেন। এ কারণে সে আপন চাচা আবু হোসেন বাদশা এবং চাচাতো ভাই ও প্রতিবেশি কয়েকজনকে আসামী করে থানায় মামলা করে।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী সালিশ বৈঠকে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সালিশকে অমান্য করে গত ১২ অক্টোবর হাবিবুর রহমান, স্ত্রী মেহেরুননেসা লিনা ও ছেলে আলী আহম্মদ রহিদসহ ভাড়াটে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বৃদ্ধা মা এলিসা বেওয়া, বোন খাদিজা আক্তার শম্পাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। তাদেরকে রক্ষায় প্রতিবেশি লোকজন এগিয়ে এলে হাবিবুর ও তার সহযোগীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে ঘরের মধ্যে ঢুকে কালার টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন আসবাসপত্র ভাংচুর এবং স্টীলের আলমারি ভেঙে নগদ ৪০ হাজার ও তিন ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায় যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এলিজা বেওয়া বাদী হয়ে ছেলে হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী মেহেরুননেসা লিনা ও ছেলে আলী আহম্মদ রহিদসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৮০/৪২৭/৫০৬/১১৪ ধারায় থানায় মামলা করেন। মামলা নং ৪৫, তারিখ ৩১.১০.২০১৩। উল্লেখ্য, হাবিবুর রহমান গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার। তার বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বিভিন্ন কৌশলে ফাঁদে ফেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে। এরফলে এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার হয়ে হাবিবুর এখন কোটিপতি। এদিকে, এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধার সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied