আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬      

 width=
 

রংপুরে ছাত্রলীগের ৪৭ নেতার পদত্যাগ

বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ১০:০৪

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, ৩০ অক্টোবর কেন্দ্র থেকে গঠন করা রংপুর মহানগর কমিটির বিষয়ে গত মঙ্গলবার তাঁরা জানতে পান। কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম স্বাক্ষরিত ওই কমিটিতে ইউনুছ আলীকে সভাপতি, মওদুদ আহমেদ ও সোহেল রানাকে সহসভাপতি, রফিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ আসিফ হোসেনকে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়। তাঁদের এক মাসের মধ্যে ১২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানান।

জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সুমন সরকার বলেন, ইউনুছ আলী ছাত্র নন। দুই বছর আগে বিয়ে করে রংপুর নগরের হনুমানতলা এলাকায় বোনের বাসায় থাকছেন। সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে রংপুর জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের মডার্ন মোড় আঞ্চলিক শাখার সদস্য।

তবে এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ইউনুছ আলী। রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি রংপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।

এদিকে রংপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিথুন চন্দ্র দাস বলেন, রফিকুল সংগঠনের সদস্য নন। দলীয় কর্মসূচিতেও কোনোদিন তিনি অংশ নেননি।

দলীয় সূত্র জানায়, নবগঠিত কমিটির নেতৃত্ব প্রত্যাখ্যান করে গতকাল বুধবার বিকেলে নগরের বিভিন্ন কলেজ ও আঞ্চলিক শাখার ৪৭ জন নেতা একযোগে পদত্যাগ করেন। তাঁদের মধ্যে কারমাইকেল কলেজ শাখার সভাপতি, সম্পাদকসহ পাঁচজন; মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি, সম্পাদকসহ ছয়জন; রংপুর সরকারি কলেজের আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কসহ ১১ জন; রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ চারজন; রংপুর সরকারি কমার্শিয়াল কলেজ শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আটজন; কাছারি বাজার শাখার সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৩ জন নেতা রয়েছেন।

কারমাইকেল কলেজ শাখার সভাপতি রাফিউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় নেতাদের মতামত না নিয়ে অছাত্র ও মোটরশ্রমিককে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করায় আমরা তা মেনে নিতে পারিনি। পদত্যাগপত্র কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।’

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানি না। আমাদের মতামতও নেওয়া হয়নি। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতারা পদত্যাগ করেছেন বলে শুনেছি।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘২০১২ সালে রংপুরে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সুপারিশের ভিত্তিতে জীবনবৃত্তান্ত দেখে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪৭ জন নেতা-কর্মীর পদত্যাগের বিষয়টি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে লিখিত কোনো কাগজ পাইনি।’

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন


 

Link copied