আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

গতি পাচ্ছে না পঞ্চগড় বিসিক শিল্পনগরী

বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ০৩:১৮

[caption id="attachment_17303" align="alignright" width="300"] পঞ্চগড় বিসিক শিল্প নগরীর বর্তমান অবস্থা[/caption]

ডেস্ক: অনেক সম্ভাবনার পরও পঞ্চগড় বিসিক শিল্প নগরী গতি পাচ্ছে না। তিনটি ক্যাটাগরিতে ৯৬টি প্লটের মধ্যে ২০টি ইন্ডাস্ট্রি অনুকূলে ৫৪টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত উৎপাদনে আছে মাত্র ৬টি। ৬টির নির্মাণ কাজ চলছে। আবার নতুন করে ৭টি ইন্ডাস্ট্রির জন্য ২৮টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হলেও নানান জটিলতায় তারা এখনো প্লট বুঝে পাননি। এখনো বরাদ্দে অপেক্ষায় রয়েছে ১৮টি প্লট। কর্তৃপক্ষ আশা করছে খুব শিগগিরই এই শিল্প নগরীটি প্রাণ ফিরে পাবে।

জেলা শহর থেকে ২ কিলোমিটার দক্ষিণে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক ঘেষে ট্রাক টার্মিনালের সামনে ১৫ একর জমিতে গত ২০০৪ সালে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্লট তৈরি ও অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। এখানে এ টাইপের ৪ হাজার ৫শ' বর্গফুটের ৬৪টি, বি টাইপের ৩ হাজার বর্গফুটের ১৬টি ও সি টাইপের অসমান ১৬টি প্লটসহ মোট ৯৬টি প্লট রয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৭টি ইন্ডাস্ট্রির জন্য ৮২টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হলেও উৎপাদনে আছে ৬টি ইন্ডাস্ট্রি। পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁয়ের রাজ্জাক গ্রুপ 'বাবলু স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ' নামে একটি হিমাগার নির্মাণ করছে এই শিল্প নগরীতে। ১২টি প্লট নিয়ে তারা ১২ হাজার ৫শ' মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই হিমাগারটি নির্মাণ করেছে। গত মৌসুম থেকে তারা এই হিমাগারে আলু ও আলুর বীজ সংরক্ষণ শুরু করে। অন্য ৫টির মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড় ওয়েল মিল, জননী উডেন এন্ড স্টিল ফার্নিচার, আমন্ত্রণ বেকারীর কারখানা, রাজা গুড়া মসলা ও এশিয়া স্যানিটারী।

কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে পঞ্চগড় জেলায় বছরে ৪ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু হিমাগার না থাকায় প্রতিবছর এ জেলায় উৎপাদিত ৪-৫ কোটি টাকার আলু পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য কৃষকদের লোকসান হলেও মজুদদার ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়। এতে বাড়তি টাকা গুণতে হয় ক্রেতা সাধারণদেরকে। হিমাগার নির্মাণ হওয়ায় এখানে যেমন খাবার আলু সংরক্ষণ করা যাচ্ছে তেমনি বীজের জন্য আলু রেখে কৃষকরা নতুন করে জমিতে আলু লাগাতে পারছে।

কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বিসিক শিল্প নগরীতে হিমাগার নির্মাণ হওয়ায় কৃষক অনেকটা লাভবান হয়েছে। তিনি বলেন, পঞ্চগড় জেলায় প্রচুর পরিমাণে টমেটো ও তরমুজ উৎপাদিত হয়। সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় কৃষক এ থেকে অধিক মুনাফা করতে পারছে না। পচনশীল হওয়ায় খুব দ্রুত এগুলো পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ টমেটো থেকে কেচআপ আর তরমুজ থেকে কোমল পানীয় উৎপাদনের কারখানা হলে কৃষক যেমন তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে, তেমনি বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি আরও বলেন, সম্ভাবনাময় এজেলায় কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় বিসিকের শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের উপ-ব্যবস্থাপক মোঃ জোহুরুল হক বলেন, এখানে শিল্প কারখানা করার জন্য যে পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন তার সব কিছুই রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছে না। শিল্প নগরীতে যারা প্লট নিয়েছে তারা অধিকাংশই জেলার বাইরের লোক। তিনি বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর জেলা প্লট বরাদ্দ কমিটির সভায় নতুন করে ৭টি ইন্ডাস্ট্রির জন্য ২৮টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন জটিলতায় এখনো তাদের প্লট বুঝে দেয়া হয়নি। বাদাম থেকে তেল তৈরি, টমেটো কেচআপ, গাড়ি সংযোজন, সোডিয়াম সিলিকেট তৈরি, পোল্ট্রি ফিড ও অটো ফ্লাওয়ার মিল স্থাপনের জন্য নতুন করে এ সকল প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগের বরাদ্দ দেয়া ৪টি প্লটে কোন ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন না করায় ৪টি প্লট বাতিল করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৮টি প্লট বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, একটি শিল্প নগরী রাতারাতি গড়ে উঠে না। ধীরে ধীরে এর পূর্ণাঙ্গতা পায়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যে সকল ইন্ডাস্টি করার জন্য প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তারা খুব শিগগির কাজ শুরু করবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই শিল্প নগরীটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে।

পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ইকবাল কায়সার মিন্টু বলেন, পঞ্চগড়ের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিসিক শিল্প নগরীতে ইন্ডাস্ট্রি করতে উদ্যোগী নয়। তারা নিজের জমিতেই বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে শিল্প ইন্ডাস্ট্রি করার মত অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন কারখানা করার সুযোগ রয়েছে। পঞ্চগড়ের পানি মিনারেল ওয়াটারের মত। পানিরও কোন সংকট নেই। এই পানি দিয়ে উৎকৃষ্ট মানের বোতলজাত মিনারেল ওয়াটার করা সম্ভব।

করতোয়া

মন্তব্য করুন


 

Link copied