স্টাফ রিপোর্টার: রংপুর বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ মামলায় দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার।
প্রথম দিনে মামলার বাদী নিহত বাবু সোনার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক ও আরেক ছোট ভাই বিশ্বজিৎ ভৌমিকের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল মালেক এবং আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী বসুনিয়া মো. আরিফুল ইসলাম। সকালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ মামলার দুই আসামি নিহত বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা ও তার প্রেমিক কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাতে বাবু সোনাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরে পুঁতে রাখা হয়। ৩ এপ্রিল রাতে বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক দীপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব আটক করে। তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে জানান। সেই সূত্র ধরে ওই দিন রাতে ঘরের মেঝে খুঁড়ে বাবু সোনার লাশ গলিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই সুশান্ত ভৌমিক বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীপা ও কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমীন মুক্তার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন রংপুর কোতোয়ালি থানার এসআই আল-আমিন। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন বিচারক। গত ২১ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরুর আদেশ দেন বিচারক।