আনজারুল হক, পীরগঞ্জ (রপুর) : কাতার প্রবাসী ইমরুল কায়েস (২৪)। সাড়ে ৩ বছর তার প্রবাসী জীবন। পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নের খালিশা দুর্গাপুর গ্রামের মমিনুল ইসলামের পুত্র সে। প্রায় ৪ বছর পূর্বে আতœীয়তার সূত্র ধরে দেখা হয়েছিল সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা কলেজ পড়ুয়া কুলছুমা আক্তার সুমি’র সাথে। সুমি পাশ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার মাহিয়ার পুর গ্রামের মোকসেদ আলীর কন্যা।
সুমিকে প্রথম দেখাতেই ভাললাগে ইমরুলের। ভাললাগা শব্দটি সুমিকে জানানোর পূর্বেই সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে ইমরুল পাড়ি জমায় কাতার। প্রবাসী জীবনের কর্মময় ব্যস্ততার মাঝেও ভুলতে পারেনি প্রথম দেখা সেই কুলছুমা আক্তার সুমিকে। মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রথমে পরিচয় অত:পর বাসনার কথা জানায় ইমরুল। সুমিও এতে সাড়া দেয়। চলে চুটিয়ে প্রেম। প্রতিদিন ইমো’র বদৌলতে দেখা হয় কথা হয় দু’জনের।
সম্প্রতি কুলছুমা আক্তার সুমি’র পরিবার তাকে অন্যত্রে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে সে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। তার পরও বিয়ের জন্য চাপ বাড়তেই থাকে। এক পর্যায়ে সুমি কাতার প্রবাসী ইমরুলের সাথে যোগাযোগ করে তার পরামর্শে গত ২৯ অক্টোবর সবার অজান্তে প্রেমিক ইমরুলের বাড়িতে হাজির হয়। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ইমরুলের দেশে ফেরার কথা।
১লা নভেম্বর তাদের ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও বাধসাধে পুলিশ। গত ৩১ অক্টোবর সুমি’র মা কদবানু বেগম পীরগঞ্জ থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ইমরুল কায়েসসহ তার ভাই মোতাল্লেব হোসেন, বাবা মমিনুল ইসলাম ও মা মাবিয়া বেগমকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই ইমরুলের বাড়িতে অভিযান চালালেও কুলছুমা আক্তার সুমি কিংবা কাউকে আটক করতে পারেনি। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত উভয় পরিবারের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।