আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

তিন দিন পর কালিপুজা-জবা ফুলের আকাশছোঁয়া দাম

শনিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৮, বিকাল ০৭:৩৮

বিশেষ প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর॥ সনাতন ধর্মের দুর্গা পুজো ও লক্ষ্মী পুজোর পরেই “সময় শক্তি সাধনার, অর্থাৎ কালী পুজো বা শ্যামা পুজোর”। কালী পুজো সাধারণত অমাবস্যা তিথিতে সম্পন্ন করা হয়। ১৮ শতকে নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই পুজো শুরু করেন। এর পর ১৯ শতক থেকে এই পুজো বহুল প্রচলিত হয়। সনাতন ধর্মের সবার কাছে এই পুজো শব্দবাজি এবং আলোর রোশনাইয়ের পুজো। এই পুজায় পুষ্পাঞ্জলি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথমে ধ্যান এবং আবাহন দ্বারা দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হলে দেবী কালীকে তুষ্ট করার জন্য পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়। ক্ষেত্রে পাঁচটি লাল জবা ফুল দেবীর চরণে অর্পণ করা হয় একটি বিশেষ মন্ত্রের উচ্চারণে। এরপর একে একে চন্দন, পুষ্প, দীপ, ধূপ ও নৈবেদ্য দ্বারা দেবী বন্দনা করা হয়ে থাকে। স্বস্তিক অঙ্কন সমাপ্ত হলে কালী পুজো শুরু হয়। বহুল আয়োজন বা ভোগ নয়, দেবী কালী শুধু জবা ফুলেই সন্তুষ্ট হন। তবে ভক্তি, আস্থা ও নিষ্ঠা এই পুজোকে সঠিক ভাবে সম্পন্ন করে। সোমরস এই পুজোয় প্রধান ভোগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মধ্যরাতে পুজো শুরু হয় এবং সাধারণত ভোর রাতে এই পুজো সম্পন্ন হয়। মাত্র তিন দিন (৬ নভেম্বর/২০১৮ মঙ্গলবার) বাকি কালীপুজোর। এখনই ফুলের বাজারে জবার দাম স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে। তাতেই মাথায় হাত পড়ছে পুজো-উদ্যোক্তাদের। তাঁদের প্রশ্ন, এখনই যদি এত দাম হয়, তবে কালীপুজোর দিন কী হবে? যদিও এ নিয়ে চিন্তিত নন ফুল ব্যবসায়ীরা। আজ শনিবার (৩ অক্টোবর) ফুল বাজারে গিয়ে দেখা গেল, ইতিমধ্যেই পদ্মের জায়গা পুরোদস্তুর দখল করে ফেলেছে পঞ্চজবা, লালজবা আর রাশি রাশি জবার কুঁড়ি। এ দিন প্রতি হাজার জবাফুলের পাইকারি দর তিনশো থেকে চারশো টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে। ব্যবসায়ী এবং চাষিদের মতে, কালীপুজোর দিন হাজারটি জবাফুলের দাম ন্যূনতম এক হাজার টাকা হবে। অর্থাৎ ফুল প্রতি দাম হবে এক টাকা। খুচরো বাজারে সেই দাম আরও চড়বে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি, কালীপুজোয় অপরিহার্য ১০৮টি জবার মালা ওই দিন কম করে ১৩০ টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। এক ফুলচাষি বলেন, পুজো-পার্বণেই তো আয়ের আশা থাকে আমাদের। না হলে তো সারা বছর মন্দা যায়। দামের তুলনা করলেই সেটা বোঝা যাবে। স্বাভাবিক সময়ে হাজার জবার দাম হয় পঞ্চাশ টাকা। উদ্যোক্তাদের মতে, গত বছর কালীপুজোয় বাজারে জবা-সহ অন্য ফুলের দর হাতে ছেঁকা লাগার মতোই চড়া হয়েছিল। যুক্তি ছিল, দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর আগে নিুচাপের ফলে অকালবৃষ্টিতে দোপাটি, গাঁদা, অপরাজিতার মতো ফুলগাছের গোড়ায় জল দাঁড়িয়ে যায়। তাতেই বহু গাছ নষ্ট হয়ে চাষের তি হয়েছিল। পাশাপাশি কালীপুজোয় ব্যবহৃত অন্যতম ফুল জবার কুঁড়ি পচে এবং অকালে ঝরে তিগ্রস্থ হয়েছিল জোগান। চাহিদা অনুযায়ী জোগান কমের কারণে দাম আকাশ ছুঁয়েছিল।এ বছর গত বারের মতো জোগানে তেমন ঘাটতি নেই বলেই জানাচ্ছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক নিয়মেই জবার দামের পারদ তাই ঊর্ধ্বমুখী— বলছেন ব্যবসায়ীরা।কারণ নতুন করে কুঁড়ি আসার আর সময় নেই। জবাফুল একটানা পনেরো দিন পর্যন্ত সংরণ করা যায়। সেই হিসেবে প্রস্ফুটিত ওই ফুল কোন্ড স্টোরেজে সংরণ করা হচ্ছে। যাতে নির্দিষ্ট দিনে প্রয়োজন মতো জোগান দেওয়া যায়।হিমঘরে সংরণের সেই খরচও যুক্ত হচ্ছে ফুলের দামে। জবাফুলের দাম এক ধাক্কায় বাড়ার আরও একটা যুক্তি, পুজোর সংখ্যা। ফুলচাষিরা বলছেন, দুর্গাপুজোর থেকে কালীপুজো অনেক বেশি হয়। সেই জোগানের সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রতি বছরই হিমশিম খেতে হয় ব্যবসায়ীদের। তার সঙ্গে যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যুক্ত হয়, তা হলে দাম স্বভাবতই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে থাকে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied