আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগ সংগীতের আসর: জয়তু সংগীত

বুধবার, ৭ নভেম্বর ২০১৮, রাত ০৮:০৮

ড. শাশ্বত ভট্টাচার্য শুরুতেই একটু ভাবতে হয় সঙ্গীতের জায়গাটা আমাদের জীবনে এখন কোথায় আছে। আছে কী? একটু তলিয়ে দেখলে আমি অন্তত ভাবি বা ভাবতে পারি সংগীত আজ কোথায় যেন যান্ত্রিক এক আর্তনাদের মাঝে বন্দী হয়ে গেছে, ভেলকির মাঝে ডুবে গেছে। চোখ ধাঁধাঁনো জৌলুসের মাঝে ঝিকিমিকি করছে। সমগীত কোথায় যেনো মুখ লুকিয়ে কেঁদে চলেছে উদ্ধার পাবার জন্য। কিন্তু এর উদ্ধার কীভাবে হয়? কারা করেন? শিল্পের এইসব উপাদান কী শুধুই শিল্পীরাই বাঁচিয়ে রাখেন না কি যারা শোনে এবং যারা শোনার ব্যবস্থা করেন তাদেরও বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব? সবই মিলে মিলিতপ্রাণের এক ঐক্য নির্মাণ হয়ে উঠতে হয়? নিশ্চয় হয়ে উঠতে। না হলে নর্তন-কুর্দনটাই সার বাকিটা অসার হয়ে পড়ে। একটা সুস্থ, মননশীল পাশাপাশি প্রতিবাদী প্রজন্ম নির্মাণের ক্ষেত্রে সংগীতের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু সেটি সংগীতের নামে উন্মাদনা ছড়িয়ে দিয়ে নয় বরং সংগীতের শান্ত সুরধারা বইয়ে দিয়েই সম্ভব আর এটি আমাদের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে আমাদের সন্তানেরা শুধু পরীক্ষায় পাশ করার জন্য যাবে না একটি সুস্থ মানস নির্মাণের জন্যও যাবে সেখানে অবশ্যই গীতসুধারসধারার এক প্রবহমানতা থাকা অনিবার্য। গত ২ নভেম্বর রংপুরের রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো এমনই একটি অনুষ্ঠান- রাগসংগীতের আসর। আয়োজক সংগঠন সংস্কৃতিবিকাশ কেন্দ্র, বেগম রোকেয়াবিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর । ভারত এবং বাংলাদের নয় জন শিল্পী সন্ধ্যে থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত মাতিয়ে রাখলো শ্রোতাদের। মাতিয়ে না বলে হয়তো বলা যায় জড়িয়ে রাখলো সুরের ইন্দ্রজালে। এই সুরতরঙ্গে বাঁশি, তবলা, কণ্ঠ, সেতার মিলে এক নান্দনিক পরিবেশ নির্মাণ হয়েছিলো। উপস্থিত শ্রোতারা ভারতীয় রাগসংগীতের সুরের ধারায় নদীর ঢেউয়ে ছোট্ট ডিঙি নৌকার মতো দুলছিলেন। আমি সেখানে নানান বয়সের শ্রোতাদের দেখেছি। বৃদ্ধ থেকে তরুণ সবাই কিছু সময়ের জন্য অন্তত নিজের মাঝে নিজেকে স্থাপন করে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের মানে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন। অবাক হয়ে দেখেছি বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া অজস্র ছাত্র-ছাত্রী মধ্যরাত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে। আয়োজক সংগঠন সংস্কৃতিবিকাশ কেন্দ্র সম্পর্কে আগ্রহ জাগে। খোঁজ খবর নিয়ে জানি এই সংগঠন বেশিদিনের নয়। মাত্র দুবছর বয়স।  বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক এবং কর্মকর্তার একান্ত ভালোবাসা এবং আগ্রহের প্রকাশ এই সংস্কৃতিবিকাশ কেন্দ্র। ২০১৭ সালে ৯ নভেম্বর এমনই এক ক্লাসিকাল নাইটের মধ্যদিয়ে তাদের আত্মপ্রকাশ। ধুমধারাক্কার যুগে যারা নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে ক্লসিকাল নাইট করেন তাদের স্যালুট জানাতেই হয়। আর জানতে সাধ হয় শুধুই কি ক্লসিকেলেই না কি আরো অন্য ভাবনা? উত্তরে তারা লালন, ভাওয়াইয়া, বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনার এবং নাটক নিয়েও [caption id="attachment_49640" align="alignleft" width="157"] লেখক[/caption] কাজ করতে চান। একজন বলেন এসবের জন্য পন্সর পেলে ভালো না পেলে ক্ষতি নেই। হেমন্তের কুয়াসা গায়ে জড়িয়ে বিশ^বিদ্যালয় চত্বর থেকে বের হয়ে আেিস। তরুণ শ্রোতাদের প্রতি সম্ভ্রম জাগে সম্ভ্রম জাগে আয়োজকদের প্রতিও। জয়তু সংগীত।

মন্তব্য করুন


 

Link copied