আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

ডিমলায় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৮, রাত ০৯:৪১

বিশেষ প্রতিনিধি ১৩ নভেম্বর॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শতবর্ষী নাউতারা আবিউন্নেছা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করেছে। এ নিয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা। আজ মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) এক লিখিত অভিযোগে জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালী মোজাফ্ফর হোসেন পরপর ছয়বার ঐ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন। এসময়ে যোগসাজোসের মাধ্যমে সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক নাসিরা আক্তার বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতে জড়িয়ে পড়েন। তারা বিদ্যালয়ের সকল ধরণের আয় ও অনুদানের অর্থ বিভিন্ন খরচের খাত দেখিয়ে অনিয়ম করে আসে। এসব অনিয়ম ঢাকতে প্রধান শিক্ষক গোপনে নির্বাচন দেখিয়ে আবারো দুই বছরের জন্য ঐ ব্যক্তিকেই সপ্তমবারের মতো সভাপতি পদে বসাতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে অনুমোদনের জন্য প্রেরন করে। অভিযোগকারীরা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিরা আক্তার নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এডহক কমিটি বিলুপ্ত করে কোন নির্বাচন না করেও নির্বাচন দেখিয়ে একই ব্যক্তিকে সভাপতি পদটিতে সপ্তমবারের ন্যায় পাকাপোক্ত করেন। প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি নিজেদের অনিয়ম দূর্নীতি আড়াল করতে বারবার এমন চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে। লিখিত অভিযোগ মতে ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষী বিদ্যালয়টির অনেক সুনাম ছিল। গত তিন বছরে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আয় ও উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তত ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিরা আক্তার বলেন, এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার বোরহান উদ্দিনকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এজন্য গত ১০ সেপ্টেম্বর সভা করে ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসীল ঘোষণা করেন তিনি। সেটি নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে প্রত্যেক শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রত্যেকটি পদে একজন করে মনোনয়ন দাখিল করায় বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়। তিনি বলেন, সভাপতি আমার (প্রধান শিক্ষক) বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। বিদ্যালয়ের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, এবারে আমি চতুর্থবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। আমি সেখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি বিদ্যালয়টির। এরকারণে অভিভাকরা আমাকে বার বার সভাপতি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমার এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিয়মের অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার বোরহান উদ্দিন বলেন, আমি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়ে নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করি। তফশীল প্রচার প্রচারণার দায়িত্ব প্রধান শিক্ষকের। সঠিকভাবে প্রচার প্রচারনা না হওয়ায় আটটি পদে একজন করে মনোনয়ন জমা দেন। প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সকলকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিত সদস্য ও প্রধান শিক্ষকসহ নয়জন সদস্য মিলে সভাপতি নির্বাচিত করেছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে অভিভাবকরা দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ করেছে। অনিয়ম থাকলে বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখবো।

মন্তব্য করুন


 

Link copied