কলেজ ছাত্রী ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টায় সাদুল্যাপুর উপজেলার তরফবাজিত গ্রামের আব্দুর রউফের মেয়ে (ইসরাত জাহান রাবু) তার স্বামীর বাড়ী একই উপজেলার উত্তর হাটবামুনি যাওয়ার জন্য সাদুল্যাপুরের কান্তানগর বাজারে আসে। সেখান থেকে হাটবামুনি যাওয়ার জন্য অটোরিক্সার খোঁজ করতে থাকলে এ সময় পূর্ব পরিচিত বান্ধবী শিমুর মামা উপজেলার ভাঙ্গামোড় গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের ছেলে লেচু মন্ডলের সাথে তার দেখা হয়। উক্ত লেচু মিয়া কথা বলার ছলনা করে কৌশলে তাকে কান্তানগর হাইস্কুলের মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়া মাত্রই পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের আব্দুর রউফ মন্ডলের (বাগা মিয়া) ছেলে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রানা মন্ডল, তার সঙ্গী একই গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে মো: নজরুল ইসলাম, দামোদরপুর গ্রামের মো: আবুল মিয়ার ছেলে মো: জাহাঙ্গীর আলম শান্ত ও পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের খাজা কাজীর ছেলে আনারুল কাজি সকলে মিলে তাকে আটক করে এবং স্কুলের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে হাত-মুখ কাপড় দিয়ে বেধে তাকে গভীর রাত পর্যন্ত পালাক্রমে ওই যুবকরা ধর্ষণ করে। পরে ওই দূর্বৃত্তরা গায়ের বিভিন্ন স্বর্ণালংকারগুলো খুলে নিয়ে তার হাত, পা, মুখ ও চোখ বেঁধে একটি সিএনজি চালিত অটো রিক্সায় উঠায়ে নিয়ে বগুড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ীতে রেখে আসে। সেখানে তিনজন অজ্ঞাত যুবক গত ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ওইদিন বগুড়ার শহরের একটি রাস্তায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজনদের সাহায্য নিয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ফুফাতো ভাই মো: এখলাছুর রহমানের সহযোগিতায় সে বাড়িতে ফিরে আসে।