হাসান আল সাকিব।। বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে সামাজিক সম্প্রীতির মূল্যবোধ ধারণ করে। বহু ভাষা, বহু ধর্ম, বহু সম্প্রদায়ের স্বাধীন গণতান্ত্রিক এই দেশ। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছি।তবে বর্তমান সময়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা।
হলি আর্টিজান কিংবা কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা হঠাৎ করে হয়েছে বলে মনে হয় না। পুরো ঘটনা যেভাবে ঘটানো হয়েছে, তাতে একটি বিষয় পরিষ্কার, বেশ সময় নিয়ে এ ধরনের হামলার প্রস্তুতি চলছিল।
যদিও দেশের ওই সময়কার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা, গোয়েন্দা তৎপরতা এবং এ ধরনের উদ্ভাবিত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় ব্যাপক ভূমিকা দেখা গেছে তবুও এসব ঘটনা/ হামলায় সমগ্র দেশ ও জাতি কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
আর এসব সহিংস উগ্রবাদকে প্রতিহত করতে কৌশল গত দিক দিয়ে সাংবাদিক বা গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অপরসীম।মিডিয়া যেভাবে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারে তা অন্য কোথাও এভাবে সম্ভব নয়।মিডিয়ার ভূমিকা কোনোভাবেই খাটো করা যাবে না। বিশেষ করে এ ধরনের কর্মকা-ের বিপক্ষে জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে। মিডিয়ার ক্ষমতাকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে পারে।
সহিংস ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাংবাদিকদের কৌশল বা ভূমিকা জানতে চাইলে কলকাতা টিভির রংপুর ব্যুরো প্রধান আমিরুল ইসলাম বলেন,উগ্রবাদ সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধ করতে হলে প্রতিটি গণমাধ্যমকে উগ্রবাদ সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড ধর্মের দিক থেকে ভুল প্রমাণিত করার জন্য ধর্মের প্রকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে একটি সঠিক নির্ভুল আদর্শ গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।
অর্থাৎ উগ্রবাদকে প্রতিরোধ করতে হলে রাষ্ট্রীয় শক্তির পাশাপাশি আদর্শিক ভাবেও একে প্রতিরোধ করতে হবে। যাতে উগ্রবাদের প্রতিটি কাজের বিপরীতে মানুষ গণমাধ্যমের মাধ্যমে একটি সঠিক ব্যাখ্যা দ্বারা সচেতন হতে পারে।