ডেস্ক: গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ প্রকাশ সম্প্রচারের পূর্বে বিষয়টি নিশ্চিত হতে অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। দলীয় শীর্ষ নেতাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে কিছু সংখ্যক গণমাধ্যম উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে ভুয়া ও তথ্যহীন সংবাদ পরিবেশন করছে অভিযোগ জানিয়ে এই অনুরোধ করে দলটি।
আজ শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারী খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ভুয়া ও তথ্যহীন সংবাদ পরিবেশনের কারণে পার্টির নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝি এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেশ কয়েকদিন ধরে কয়েকটি গণমাধ্যম জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি শওকত চৌধুরীর বরাত দিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরছেন। যিনি জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নীলফামারী-০৪ আসনে নির্বাচন করছেন। তার বরাত দিয়ে সংবাদ পরিবেশেনের কারনে সৈয়দপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরিও করেছেন শওকত চৌধুরী। এ ছাড়া নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেও তিনি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শওকত চৌধুরী পার্টিকে জানিয়েছেন একটি অসৎ উদ্দেশ্য থেকেই তার বরাত দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কাজী মো. মামুনুর রশিদ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা। এবার ব্রাক্ষণবাড়িয়া-০৫ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তার বরাত দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে প্রতিবাদলিপি সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় দিয়ে রিসিভ করিয়ে এনেছেন। তিনি জানান, দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজুও বিষয়টিতে ভূক্তোভোগী হয়েছেন। তিনি জানান, গণমাধ্যমের কোনো কর্মীর সঙ্গে কথাই হয়নি তার। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সফিকুল ইসলাম সেন্টুর পদত্যাগ নিয়েও গণমাধ্যমে প্রচার প্রকাশ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টিতে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। যারা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পার্টির মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়, তারা জঘন্য কাজ করছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কয়েকটি পত্রিকা সংবাদের শিরোনাম করেছে ‘জাতীয় পার্টি অফিসে তালা’। কিন্তু সংবাদের ভেতরে উল্লেখ ছিল না কে বা কারা তালা ঝুলিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জাতীয় পার্টি অফিসে কেউই তালা ঝুলিয়ে দেয়নি। আবার জাতীয় পার্টি অফিসে ভাংচুর বা পার্টি মহাসচিব অবরুদ্ধ এ ধরনের সংবাদ একেবারেই মনগড়া। আবার ঘটনার সময়ে যারা বিভিন্ন এলাকায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে, তাদের বরাত দিয়েও সংবাদ এসেছে কোনো কোনো গণমাধ্যমে। যা একেবারেই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে জাপা মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে কেউ কেউ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন, যার সাথে সত্যের কোনো মিল নেই। যারা জতীয় পার্টিকে বিতর্কিত করতে অপচেষ্টা করছে, তারা সফল হবে না।’ গণমাধ্যম কর্মীরা যেন, মিথ্যে, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত তথ্যে বিভ্রান্ত না হন, সে অনুরোধও জানান তিনি।
