আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

নীলফামারী-২ আসনে উন্নয়ন চমকে নৌকার প্রার্থী নুর জনপ্রিয়তার শীর্ষে

শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, বিকাল ০৬:০৮

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী ২৮ ডিসেম্বর॥ ২০০১ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারী-২ (সদর) আসনে টানা ৩ বার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেছে আসাদুজ্জামান নুর। বর্তমানে তিনি মহাজোট সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকার মাঝি হয়েছেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনে। এখানে রয়েছে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক। রাজনীতির মতো জটিল-কুটিল পরিসরের ভেতরেও তিনি অক্ষুন্ন রেখেছেন নিজের ব্যক্তিত্ব, স্বকিয়তা ও ভাবমূর্তি। তিনি একজন আইকনিক মানুষ হতে পেরেছেন। দলমত নির্বিশেষে নীলফামারীর মানুষ এ কথা স্বীকার করেন যে, তাঁর সততা দৃষ্টান্তযোগ্য, তাঁর উদারতা আকাশ সমান। তিনি দল-মত নির্বিশেষে তাঁর নির্বাচনী এলাকা নীলফামারী-২ এ বহুমাত্রিক উন্নয়ন করেছেন। বিগত ১০ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়নে লাভবান হয়েছেন নীলফামারীর অধিবাসীগণ। এটি নীলফামারীবাসীর জন্য কম আনন্দের সংবাদ নয়।শুধু সরকারি সাহায্য সহযোগিতা নয় বরং তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নেও নীলফামারীর সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেন। নুর সদালাপী, কর্মীবান্ধব ও ক্লিন ইমেজের নেতা। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার কারণে এ আসনে তিনি সবার প্রিয় এবং একজন ফেবারিট প্রার্থী। এ আসনে তার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীর আস্থাভাজন। শুধু এই আসনেই নয়, পুরো জেলাজুড়ে রয়েছে তার উন্নয়নের ছোঁয়া। সাধারন মানুষজন বলেন নুরের বিকল্প নেই। এ কারণে তিনি এ আসনে অপ্রতিদ্বন্ধী। সাধারন ভোটারগন বলছেন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থেই এবারও নৌকায় ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে আসাদুজ্জামান নুরকে বিজয়ী করতে অপেক্ষার দিন গুনছে। সরকারি উন্নয়ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি নূরের ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম মানুষকে মুগ্ধ করেছে। নীলফামারীর রাজনীতিতে আসার পর থেকেই ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এই কাজে দল-মতের ঊর্ধ্বে তাঁর অবস্থান। এসব কল্যাণমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ, অস্ত্রোপচার, মেডিক্যাল ক্যাম্প, গৃহহীনদের মাঝে ঘর তৈরি করে দেওয়া, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রিকশা-ভ্যান ও সেলাই মেশিন বিতরণ, গরিব মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও গরিব মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে কোচিং, শীতবস্ত্র বিতরণ, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ত্রাণ প্রদান, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ বিতরণ উল্লেখযোগ্য। নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেড আসাদুজ্জামান নূরের উন্নয়নের রাজনীতির একটি বড় উদাহরণ। ইপিজেডের অগ্রযাত্রায় শিল্পের বিকাশ ঘটেছে গোটা জেলায়। জেলা থেকে দূর হয়েছে অভাব ও মঙ্গা। নীলফামারী সরকারি কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু, নীলফামারী সরকারী মহিলা কলেজ, নীলফামারী মশিউর রহমান কলেজে স্নাতক কোর্স চালুসহ জেলা সদর এবং জেলার অন্যান্য উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ঘটেছে তাঁরই দক্ষ নেতৃত্বে। নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন এলাকার উন্নয়নে তাঁর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। চিকিৎসাসেবায় সদর আধুনিক হাসপাতালের উন্নয়ন, নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন এবং অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনেক। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিপ্লোমা কোর্স চালু, ডায়াবেটিক হাসপাতালের উন্নয়নসহ জেলা শহরের অদূরে নতুন আরেকটি পূর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন তিনি।নূরের নেতৃত্বে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। গ্রাম-গঞ্জের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে সেতু ও কালভার্ট। জেলার সীমান্ত এলাকা চিলাহাটি থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করছে একাধিক আন্তঃনগর ট্রেন। আসাদুজ্জামান নূরের আগমনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে জেলার রাজনীতিতে। তাঁর নেতৃত্বের ছোঁয়ায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইতিবাচক রাজনীতির বিকাশ ঘটেছে। তাঁরই অনুপ্রেরণায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজনীতির পাশাপাশি জড়িত হয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে। শৃঙ্খলা ফিরেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনে। দলের নেতাকর্মীরা জানায়, আসাদুজ্জামান নূর থাকায় দলে চাঁদাবাজ নেই, সন্ত্রাস বলে নেই কিছু। তাঁর সরলতা এবং মানুষের সঙ্গে মেশার ক্ষমতা সম্মোহিত করছে সবাইকে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলে, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এ জেলার কৃতী সন্তান। জেলায় আওয়ামী লীগের সদস্য নূর এখানকার রাজনীতির অভিভাবকও। নীলফামারীর রাজনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে একটি সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করেছেন নূর। নীলফামারীকে বলা হয় সংস্কৃতিকর্মী তৈরির সূতিকাগার। এখান থেকে তৈরি হয়েছেন অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। আসাদুজ্জামান নূর তাঁদেরই একজন। কালক্রমে স্থবির হয়ে পড়া এই অঙ্গনেও চাঞ্চল্য এনেছেন তিনি। সংস্কৃতিমন্ত্রীর অভিভাবকত্বে বিস্তৃত হতে শুরু করেছে জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম। সক্রিয় হতে শুরু করেছে ঝিমিয়ে পড়া অনেক সংগঠন। হচ্ছে নতুন নতুন সংগঠন। এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীতে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত ও কাজী নজরুল সংগীত সম্মেলন ও খেলাঘরের জাতীয় সম্মেলন। বলাবাহুল্য যে টেলিভিশন ও রূপালি পর্দার তুমুল জনপ্রিয় এই অভিনেতা অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন। তাঁর সাবলীল নেতৃত্ব নীলফামারীর রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে যেমন প্রভাবিত করেছে তেমনি যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে। মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিকাশ ঘটেছে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও। সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে আসাদুজ্জামান নূরের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে ভিশন-২০২১ নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটি শিশু ও তরুণদের নিয়ে কাজ করে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছে সংগঠনটির কাজ। প্রায় তিন বছরে ৫৬ হাজার শিশুর লেখা নিয়ে বই প্রকাশ করেছে তারা। এ ছাড়া শতাধিক খুদে শিল্পী শহরের দেয়ালে এঁকেছে দৃষ্টিনন্দন ছবি।দেয়ালে দেয়ালে খুদে চিত্রশিল্পীদের হাতের ছোয়ায় ফুটে উঠেছে স্বাধীন বাংলা,সোনার বাংলার দৃশ্যাবলী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক শাহীন আখতার আসাদুজ্জামান নূরের সহধর্মিণী। এই শিশু নিউরোলজিস্ট ও শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞ নীলফামারী সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করে আসছেন। বিনা মূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ এবং রোগীদের ওষুধ দেওয়া হয় ওই ক্যাম্পে। সহধর্মিণী অধ্যাপক শাহীন আখতারের এই কার্যক্রম আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে আসাদুজ্জামান নূরকে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান বলেন, আসাদুজ্জামান নূর রাজনৈতিকভাবে যতটুকু না, ব্যক্তি ইমেজ সফলতা পেয়েছেন তারও বেশি। ভালো মানুষ হিসেবে দুর্জন ও নিন্দুকদের কাছেও তিনি শ্রদ্ধার পাত্র। আর নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য যে ব্যক্তি ইমেজের দরকার সেটি শতভাগ আসাদুজ্জামান নূরের আছে। এলাকাবাসীর কাছে নুর ভাই উন্নয়নের আলো। প্রকাশ থাকে যে এই আসনে নৌকার মাঝি আসাদুজ্জামান নূরের প্রতিদ্বন্দি হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মনিরুজ্জামান মন্টু(ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জহুরুল ইসলাম(হাত পাখা), ন্যাশনাল পিপলস পাটির রাবেয়া বেগম(আম ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এজানুর রহমান(ট্রাক)।

মন্তব্য করুন


 

Link copied