আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

লালমনিরহাটে ১১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, রাত ০৮:২৩

ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণে লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ ১১ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বেসরকারি ফলাফল তালিকায় দেখা যায়-লালমনিরহাটের ৩টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে দুইজন, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে দুইজন, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে তিনজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকে তিনজন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকে একজন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকে দুইজন, বাংলাদেশ ন্যাশন্যালিস্ট ফ্রন্টের টেলিভিশন প্রতীকে একজন ও জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দলের(ইনু) মশাল প্রতীকে একজন প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে লালমনিরহাট-১ আসনে(পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬ ভোটের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চতুর্থবারের মতো পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে অপর ৬জন প্রার্থী কেউই জামানত উত্তোলনের মতো ভোট পাননি। এই আসনে বিএনপির ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান (ধানের শীষ) পান ১২ হাজার ১শ ৫৭ ভোট, জাতীয় পার্টির মেজর (অবঃ) খালেদ আখতার পান ২ হাজার ৩১৯ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের হাবিবুর রহমান(হাতপাখা) পান ৯৬২ ভোট, জাসদের ছাদেকুল ইসলাম(মশাল) পান ৪৪৭, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুস সাত্তার (আম) পান ৩০৫ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আলমগীর হোসেন মুরাদ( টেলিভিশন) পান ২১৫ ভোট, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৫৭টি। তবে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোতাহার হোসেনসহ তিনজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। তিনি ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জামায়াতের হাবিবুর রহমান ৭২ হাজার ৭৯১ ভোট পান। তাছাড়া মেজর (অব.) মকবুল হোসেন(কুলা) ১ হাজার ৩৪৭ ভোট, নুরুজ্জামান(গোলাপ ফুল) ১ হাজার ৪৮৭ ভোট, জয়নুল আবেদীন সরকার(তালা) ১৪৪ ভোট ও আব্দুল হাকিম(গামছা) ১১২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছিলেন। এই আসনে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লেফটেন্যান্ট (অব.) মোতাহার হোসেনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছিলেন। লালমনিরহাট-২ আসনে(আদিতমারী-কালীগঞ্জ) মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৩১ ভোটের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ (নৌকা) ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে সরাসরি ভোটে প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির রোকন উদ্দিন বাবুল(ধানের শীষ) ৭৮ হাজার ১৯৩ ভোট পেয়েছেন। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৫২৯টি। এছাড়া এই আসনের অপর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের ইব্রাহিম হোসেন খান(হাতপাখা) পান ৮ হাজার ৯৯২ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিমলীগের বাদশা মিয়া(হারিকেন) পান ২৬৬ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শরিফুল ইসলাম(আম) ১৩৩ ভোট। এই তিন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জামানত উত্তোলনের মতো ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। অপরদিকে লালমনিরহাট-৩(সদর) আসনে মোট ২ লাখ ৫১ হাজার ৬৫১ ভোটের মধ্যে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও মহাজোটের প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ কাদের(লাঙল) পান ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৪৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু(ধানের শীষ) ৮১ হাজার ৩৯৯ ভোট পেয়েছেন। তবে এই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোকছেদুল ইসলাম(হাতপাখা) ৫ হাজার ৬১ ভোট ও বাংলাদেশ সমাজ তান্ত্রিক দল-বাসদের আবু তৈয়ব মো. আজমুল হক পাটোয়ারী ২১৩ ভোট পেলেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এই আসনে বাতিলকৃত ভোট সংখ্যা ৪ হাজার ৬৭৯টি। ভোট কম পাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমনিরহাট-১ আসনে ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান বলেন, ‘১৩২টি ভোট কেন্দ্রের কোথাও আমার এজেন্ট ছিল না। প্রশাসনের তেমন সহযোগিতাও পাইনি। তাই এই অবস্থা হয়েছে।’ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা শফিউল আরিফ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আইন মতে নির্দিষ্ট পরিমান ভোট পেতে হয়। মোট ১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর নির্দিষ্ট পরিমান ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied