আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল      

 width=
 

এবারও সরকারে থেকে বিরোধীদল হতে চায় জাতীয় পার্টি

বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৯, রাত ০৮:৫৭

ডেস্ক: ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদের মতো এবার একাদশ সংসদেও সরকারে থেকেই বিরোধী দল হতে চায় জাতীয় পার্টি। দলটির ২২ জন নির্বাচিত সদস্যের অনেকেই চাইছেন পুরোপুরি সরকারে থাকতে। আবার কেউ মত দিয়েছেন, বিরোধী দল হিসেবেই ভূমিকা নিতে। না- হলে একইসঙ্গে মন্ত্রীত্ব ও বিরোধী দলে থাকলে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। জাপা’র নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সংসদে আওয়ামী লীগের পর একমাত্র জাপা-ই সবচেয়ে বেশি আসনে বিজয়ী হওয়ায় বিরোধী দল হিসেবেই তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। তবে সবার মতামত আমলে নিলে উভয় অংশেই শরিক হবে জাপা। এক্ষেত্রে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যেই মহাজোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে জাপা। বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠকে এসব বিষয় উঠে আসে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় সিংহভাগ নেতাই সরকারে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা গতবারের ফর্মুলা অনুযায়ী বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারের অংশীদারিত্বেও থাকতে চান। জাপার কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি, প্রত্যেকেই মতামত দিয়েছেন। জাপা যেহেতু মহাজোটের শরিক হিসেবে নির্বাচনে গেছে এবং বিজয়ীদের মধ্যে একজন বাদে সবাই জোট থেকে নির্বাচিত, সে কারণে বিজয়ীদের প্রত্যেকেই চাইছেন সরকারে থাকতে।’ জাপার সূত্র জানায়, বুধবারের বৈঠকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম সত্যিকারের বিরোধী দল হওয়ার আহ্বান জানান নেতাদেরকে। তিনি বলেন, ‘আমি অন্যদলের প্রতীক থেকে যেন নির্বাচন করি সেই অফার ছিল, কিন্তু আমি যাইনি। আমি মনে করি, আমাদের সত্যিকারের বিরোধী হওয়া উচিত। নবনির্বাচিত এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘শেখ হাসিনা আর পল্লীবন্ধু এরশাদের নেতৃত্বে মহাজোট হয়েছে। মহাজোটের কারণেই আমরা এমপি। শেখ হাসিনা এখন রাজনীতি করেন ট্রাম্প ও মোদির সঙ্গে। ড. কামাল, ফখরুল, রব, মান্নাদের নিয়ে রাজনীতি করার সময় তার নেই। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আমরা সরকারে না থাকলে এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে। আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় না।’ জাপার আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান বলেন, ‘মহাজোট যেহেতু সরকারই সৃষ্টি করেছে, তাই মহাজোটের মাধ্যমে সরকারে থাকাই বাঞ্চনীয়।’ শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘গত কয়েক বছরে পার্টির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছি, কিন্তু মহাজোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ পার্টি করবো কিনা এরশাদ সাহেবের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে আমি মনে করি, আমাদের গতবারের মতো সরকারের সঙ্গে থাকা উচিত। তা না-হলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না।’ জাপা নেতা এটিইউ তাজ রহমান বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক হতে হবে। হয় সরাসরি সরকারে থাকবো, অথবা বিরোধী দলে থাকবো। বিরোধী দলে থেকে মন্ত্রীত্ব নেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, বিরোধী দলে থেকে মন্ত্রীত্ব নিলে জনগণ আমাদের ভিন্নভাবে নেবে।’ তার এ বক্তব্য সমর্থন করেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, হাফিজউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। এছাড়া, মুজিবুল হক চুন্নু, আদেলুর রহমান, পনিরউদ্দিন আহমেদসহ অধিকাংশ সংসদ সদস্য গতবারের মতো বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারে থাকার পক্ষে বক্তব্য দেন। গোলাম কিবরিয়া টিপু নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করার দাবি জানান। সভায় কাজী ফিরোজ রশিদ উপস্থিত থাকলেও কোনও বক্তব্য দেননি। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আমাদের দলের অনেকে চাইছেন সত্যিকার অর্থে বিরোধী দল হতে। তবে সম্ভবত ২০১৪ সালের দিকেই যাচ্ছে পার্টি।’ কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘শপথ নেওয়ার পর দুয়েকদিনের মধ্যেই আমরা আলোচনা শুরু করবো।’ আপনি নিজে বিরোধী দলীয় নেতা হচ্ছেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে জিএম কাদের বলেন, ‘না, এখনও নিশ্চিত না। চেয়ারম্যান স্যার আছেন, তিনি যাকে মনোনীত করবেন, তিনিই হবেন বিরোধী দলীয় নেতা।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied