আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

রংপুরে দ্রুতগতিতে নির্মিত হচ্ছে এক’শ শয্যার পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল

বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৯, দুপুর ০৩:৫৭

মমিনুল ইসলাম রিপন: দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে রংপুর শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজ। পুরাতন সদর হাসপাতালের জায়গাতে এটি নির্মিত হচ্ছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এক’শ শয্যার পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতালটির নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৩২ কোটি টাকা। রংপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি ওয়ার্ডটিই হবে নতুন শিশু হাসপাতাল। মূল হাসপাতাল থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল এ ওয়ার্ডটি। এক সময় অযত্ন অবহেলা আর দুর্ভোগ থাকলেও এখন সেই জায়গাতেই নির্মিত হচ্ছে রংপুরবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল। ইতোমধ্যে তিনতলা বিশিষ্ট হাসপাতালটির অবকাঠামো দাঁড়িয়েছে। রংপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মল্লিক এন্টারপ্রাইজ ও অণিক ট্রেডিং কর্পোরেশন (জেভি) রংপুর শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ কাজ করছে। এর বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রæয়ারীতে শুরু হওয়া হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৮০৯ টাকা। রংপুর সদর হাসপাতালের ৩ একর জায়গাতে এটি নির্মিত হচ্ছে। জানা গেছে, রংপুর সিটি কর্পোরেশন ভবনের উল্টো দিকে ১৭ একর জায়গায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংক্রামক ব্যধি ওয়ার্ডটি ছিল। এরআগে রংপুর সদর হাসপাতাল নামে এখানে একটি হাসপাতাল ছিল। তারও আগে অর্থাৎ বৃটিশ আমলে ১৮৪০ সালে এটি ছিল একটি ডিসপেনসেরী। ১৯৩০ সালে সেটি রংপুর সদর হাসপাতাল হিসেবে রুপান্তরিত হয়। ১৯৭০ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসাপাতাল প্রতিষ্ঠার পর প্রথম এর কার্যক্রম শুরু হয় রংপুর সদর হাসপাতালে। নতুন অবকাঠামো তৈরি হলে ১৯৭৬ সালে সদর হাসপাতাল থেকে রমেক হাসাপাতালটি নগরীর ধাপ এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। সদর হাসপাতাল চত্ত¡রে থেকে যায় রমেক হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি ওয়ার্ডটি। দীর্ঘ বছর অযন্ত অবহেলায় জরাজীর্ণ সদর হাসপাতালটি চালু করতে ২০০৭ সালে আন্দোলন করেন স্থানীয় সচেতন মহল। সে সময় আন্দোলনের চাপে তৎকালীন তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রধান ফখরুদ্দিন আহমেদ সেটি পুণঃচালুকরণের আশ্বাস দিলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। অবশেষে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা সুনজরে শুরু হয় পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল নির্মাণ কাজ। এদিকে এক’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের নোংরা পরিবেশ থেকে মুক্তি মিলবে হাসপাতালটির আশপাশের মানুষজনের। শিশু হাসপাতালকে ঘিরে আবারো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে স্থানীয়দের ব্যবসা বাণিজ্য। রংপুর সদর হাসপাতাল পূণঃচালুকরণ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু বলেন, এই হাসপাতালটি পুনরায় বাস্তবায়নের জন্য আমরা বহুদিন থেকে আন্দোলন করে আসছিলাম। অবশেষে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এজন্য আমরা রংপুরবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। রংপুর জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, পুরনো সংক্রামক ব্যধি ওয়ার্ডটিতেই এক’শ শয্যার পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল নির্মাণ কাজ হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এটি চালু করা সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied