সকালে নগরীর মেডিকেল মোড় পূর্বগেট (শিমুলবাগ) এলাকায় দুটি ব্যাটারীচালিত অটো রিক্সাতে আগুন ধরিয়ে দেয় ছাত্রদল। এসময় তারা সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করে।
অন্যদিকে পার্কের মোড়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করে ছাত্রশিবির। এসময় পুলিশ এক শিবিরকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। এছাড়া জাগপা সহ সভাপতি নূর আলম, সেক্রেটারী মাজেদুল ইসলাম রতন, বাহার কাছনা থেকে বিএনপির নেতা শামসুল হক, আব্দুল মজিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে সকাল সাড়ে দশটায় বিএনপির কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ করে আঠারো দলীয় জোট। বিক্ষোভ মিছিলটি গ্রান্ড হোটেল মোড়, শাপলা চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে জাহাজ কোম্পানী মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়াও বেলা বাড়ার সাথে সাথে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে খন্ড খন্ড মিছিল করে যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ আঠারো দলীয় জোটের হরতাল সমর্থকরা।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি হাববি-উন-নবী সোহেলের বাসায় গুলি বর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে লালবাগ এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে স্বেচ্ছাসেবক দল। এর আগে নগরীর বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় হরতালকারীরা।
এদিকে নগরীতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সার্বকক্ষণিক টহল দিচ্ছে।
পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে নাশকতার অভিযোগে বিএনপি, জাগপা ও শিবিরের পাঁচ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ শাহাবুদ্দিন খলিফা জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।