বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের সাক্ষাৎকার দিতে এসে ৭ শিক্ষার্থী আটক হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সাক্ষাৎকার চলাকালীন বি এবং এফ ইউনিটের বিভিন্ন শিফটের বোর্ডের সমন্বয়ক তাদের প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আটককৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, ঠাকুরগাঁও'র গোয়ালপাড়ার খাইরুল আহমেদের ছেলে শাফিন আহমেদ (ইউনিট- এফ, শিফট-৪, রোল- ৬৭০৩৮৪, মেধাক্রম ২), গাজীপুর কাপাশিয়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে এস এম নাইম (ইউনিট- বি, শিফট, রোল- ২১৯৮৪৬, মেধাক্রম ৩), নীলফামারী কিশোরগঞ্জের মারুফ হাসান (ইউনিট- বি, শিফট-২য়, রোল- ২৭১১৮৯, মেধাক্রম ১), গাজীপুর শ্রীপুরের রাকিবুল ইসলাম শান (ইউনিট- বি, শিফট-২য়, রোল- ২১১৯৮৬, মেধাক্রম ২), টাঙ্গাইল গোডাউন বাজারের শাহরিয়ার ইসলাম (ইউনিট- বি, শিফট-২য়, রোল- ২২০২০০, মেধাক্রম ৯), টাঙ্গাইল সদরের শোয়েব হাসান (ইউনিট- বি, শিফট-৪র্থ, রোল- ২৪৬৮৫৬, মেধাক্রম ৬), শেরপুরের মধ্যশ্রেরীর রাহাত মজুমদার (ইউনিট- বি, শিফট-৪র্থ, রোল- ২৪৭৬৬০, মেধাক্রম ৩৮)।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বি ইউনিটের ২য় শিফটের সমন্বয়ক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম নিরব ৩ জন, ৪র্থ শিফটের (মানবিক) সমন্বয়ক তাবিউর রহমান প্রধান ২ জন, ৪র্থ শিফটের (ব্যবসায় শিক্ষা) সমন্বয়ক মো: দেলওয়ার হোসেন সবুজ ১ জন এবং এফ ইউনিটের ৪র্থ শিফটের সমন্বয়ক মো: মোস্তাফিজুর রহমান রিপন ১ জনকে প্রক্টরিয়ার বডির হাতে হস্তান্তর করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসানের নির্দেশে তাজহাট থানায় প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক একে এম ফরিদ-উল ইসলাম বলেন, সাত শিক্ষার্থী অসাদুপায় অবলম্বন করায় তাদের থানায় প্রেরণ করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই মহিব্বুল ইসলাম বলেন, সাতজনকে প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।