আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

কনকনে শীতে গভীর রাতের ঘুরে ঘুরে নীলফামারী ডিসির কম্বল বিতরন

বুধবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৯, বিকাল ০৭:২৭

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৯ জানুয়ারি॥ গভীর রাত। উত্তুরী হিম বায়ুর কনকনে শীত। যেখানে ঘর হতে বের হওয়ায় দায়, সেখানে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত কম্বল বিতরন করলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন। গতকাল মঙ্গলবার(৮ জানুয়ারী) গভীর রাতে নীলফামারী রেলষ্টেশনের প্লাটফর্মে পাওয়া যায় অসংখ্য বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ও প্রতিবন্ধি ছিন্নমুল নারী পুরুষকে। পাতলা কোন কাথা দিয়ে তারা জড়োসড়ো ভাবে কাঁপছে শীতে। তাদের কনকনে শীতের যে দূর্ভোগ তা কেউ স্ব চোখে না দেখলে বুঝতে পারবেনা। এমনকি চোখে জলও এসে যায়। স্টেশনের প্লাটফর্মে শুয়ে ঘুমিয়ে থাকা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর ফকিরেরহাট গ্রামের নদী ভাঙ্গনের শিকার বিধবা বৃদ্ধা মল্লিকা বেগম(৬৫), ঝলমলি বেগম(৭০), অমেদা বেওয়া(৬৫), হাজরা খাতুন(৭০), স্বামী পরিত্যাক্তা তানজিলা(৪০) দুই সন্তান সহ আশ্রয় নিয়ে ছিল। তাদের সঙ্গে আরো অনেকে বিভিন্ন এলাকার রয়েছে সেখানে। দিনকাটে ভিক্ষের থলি নিয়ে। সারা দিন যা পায় তা দিয়ে মুঠো ভাত খায়। তাদের প্রতিজনের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেয়া হয়। ভিক্ষুক ঝলমলি বেগম জানান, হামার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে। বাড়ি ভিটা নাই। ভিখ করি খাই এই এলাকাত।রাইতোত স্টেশনোত শুতি থাকি। ঠান্ডাত খুব কষ্ট হইছে। কম্বলটা পেয়া জার(ঠান্ডা) কাটা যাইবে। একই এলাকার তানজিনা বেগম জানান, স্বামী নাই। এইত্তি চলি আসছি। খুব কষ্ট করি চলিবার নাগে। ঠান্ডাকালোত খুব কষ্ট হয়। কয় দিন থাকি খুব ঠান্ডা নাগেছে। আইজ কম্বলটা পায়া এ্যানা ভালো হইল।এভাবে কম্বল পেয়ে বেশ খুশি ছিন্নমুল মানুষরা। সেই গভীর রাতে আবার যাওয়া হয় পৌর এলাকার হারোয়া কলেজ ষ্টেশন। ঘুটঘুটে অন্ধকার। খুঁজে পাওয়া গেল কলেজ স্টেশনের একটি অদুরে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে কয়েকটি ঘর। সেখানে পা রাখতে দেখা মিললো ৭০ বছরে এর কাছাকাছি তিনজন বিধবা বৃদ্ধা রেজিয়া, ফাতেমা, মেরেজা ও কোরেশাকে। তাদের অন্ধকার ঘর হতে বের করে নিয়ে আসা হয় কলেজ ষ্টেশনে প্লাটফর্মে। তাদের অসহায়ত্ব তুলে ধরেন এই চার বৃদ্ধা। তাদের গায়ে চরিয়ে দেয়া হলো উন্নত মানের কম্বল। সেই সঙ্গে তাদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করার ঘোষনা দেন ডিসি। গভীর রাতে এমন ভাবে শতাধিক কম্বল বিতরন শেষে আজ বুধবার(৯ জানুয়ারী) ভোরে তিনি চলে যান সদর উপজেলার চাপড়া সরনজামী ইউনিয়নের চাড়ারকাটা নদীর গ্রাম বেড়াডাঙ্গা এলাকায়। সেখানে অসহায় নদী ভাঙ্গনের শিকার এমন চারশত পরিবারকে তুলে দেন একটি করে কম্বল। ভ্রাম্যমান দলের মাধ্যমে জেলা সদর উপজেলা ও পৌর এলাকায় ছিন্নমুল অসহায়, নদী ভাঙ্গনের শিকার এমন প্রায় ৫ শতাধিক ব্যাক্তিকে একটি করে এ ভাবে উন্নত মানের কম্বল তুলে দেন ডিসি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী। জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন বলেন, সচরাচর এসব মানুষ অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকেন। তারা পিছিয়ে থাকেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনা একজন নারী হয়ে গোটা দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি শীত নিবারণের জন্য কম্বল দিচ্ছে এসব কম্বল যাতে প্রকৃত হতদরিদ্র মানুষরা পান সেজন্য ঘুরে ঘুরে বঞ্চিতদের মাঝে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আমি জেলার বিভিন্ন এলাকা ও সাবেক ছিটমহলে নিজে গিয়ে কম্বল বিতরন করবো।

মন্তব্য করুন


 

Link copied