লালমনিরহাট প্রতিনিধি: সমাজ কল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, লালমনিরহাট একটি অবহেলিত ও পশ্চাদপদ জেলা।এক সময় এ জেলাকে মফিজ বলা হতো। আওয়ামীলীগ এসে মফিজ নামটিকে বিদায় দিয়েছে। বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থেকে কোন উন্নয়ন করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃশ্যমান সকল উন্নয়ন করেছেন।
রোববার(১৩ জানুয়ারী) দুপুরে লালমনিরহাট সার্কিট হাউজ হলরুমে জেলা প্রশাসন, সুশিল সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
সমাজ কল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ আরো বলেন, যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে আমার দেখা করতে পারেন। আমি জনগনের মানুষ। ইউপি চেয়ারম্যান থেকে জনগনের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী কর্মদক্ষতায় খুশি হয়ে করুনা করে লালমনিরহাট জেলাবাসীকে পুর্ন মন্ত্রীত্ব উপহার দিয়েছেন। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মহাজোটের পক্ষে মানুষ গনরায় দিয়েছে। এ জন্য জেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে দেশের উন্নয়নে অংশ নিন। মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে বিভ্রান্ত ছড়াবেন না। আমি সামাজিক মানুষ। আমার সুনাম খুন্ন করবেন না। জেলাবাসীর প্রানের দাবিগুলো জানা রয়েছে। জেলার সার্বিক উন্নয়নে যা দরকার সব করা হবে। মডেল জেলা গঠনে জেলা প্রশাসন, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকরাসহ সমাজের প্রতিটি মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক, যুগ্ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাদল আশরাফ, জেলা যুবলীগ সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।
সমাজ কল্যান মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের পর নিজ জেলায় এটাই প্রথম সফর। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরন করেন। সেখান থেকে সড়ক পথে দুপুরে সার্কিট হাউজ পৌছেন সমাজ কল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মতবিনিময় সভা শেষে
নিজ বাসভবন জেলার কালীগঞ্জে যান তিনি। সেখানে তুষভান্ডার খেলার মাঠে পথ সভা করবেন মন্ত্রী। ৭দিন জেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগাদান করবেন তিনি। মন্ত্রীকে বরন করতে জেলার প্রবেশদ্বার তিস্তা সড়ক সেতু থেকে মন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে করা হয়েছে দুইশতাধিক তোড়ন।
