বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামে এক প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীরা জানায়, এক বছর আগে উপজেলার উঁচুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এক সন্তানের জনক আজিজুল (৩০) হকের সঙ্গে পাশের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে এক সন্তানের জননী কেয়া আক্তার টপির (২২) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করে কয়েক মাস সংসারও করেন। এরপর জানুয়ারি মাসের শুরু দিকে বাড়ি ফিরলে তাদের এই বিয়ে উভয় পরিবার মেনে নিতে অসম্মতি জানায়। এনিয়ে একাধিক গ্রাম্য শালিস-বৈঠক করা হলেও সমঝোতা হয়নি। এতে ক্ষোভ ও অভিমান করে গত রোববার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশের অবস্থিত একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সামনে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এই প্রেমিক যুগল।
ঘটনাটি জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কেয়া আক্তার টপিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজিজুল হক।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।