নীলফামারীর সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশীর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
নীলফামারীর সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশীর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯, রাত ১১:১৫
খলিলের লাশ ফেরত দেয়ার সময় ভারতের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি থানার ওসি প্রবীন প্রধান ও বাংলাদেশের ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ, কোচবিহার ১৪৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভুজারীপাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার আশিষ সিং, রংপুর-৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বালাপাড়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মোবারক আলী, ঠাকুরগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নাজির উদ্দিন ও অন্যান্য বিজিবি সদস্য এবং পশ্চিম ছাতরাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক সরকার সহ প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয়দের নিকট হতে খলিলের লাশ গ্রহন শেষে ডিমলা থানার ওসি জানান ভারতীয় হলদিবাড়ি থানায় তাঁরা একটি ইউডি মামলা করে লাশের ময়না তদন্ত করেছে। আমরা স্থানীয়ভাবে আইনী কার্যক্রম শেষে পরিবারের কাছে খলিলের লাশ হস্তান্তর করবো।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার(১৫ জানুয়ারী) ভোরে বাংলাদেশের ঠাকুরগঞ্জ ও ভারতের ভুজারীপাড়া সীমান্তে ৭৯১ নম্বর প্রধান সীমান্ত পিলার দিয়ে খলিল সহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ। তারা মুলতো গরু পাচারে রাখালের কাজ করে। এ সময় ভারতের কোচবিহার ব্যাটালিয়নের ভুজারীপাড়া বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করে ও গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও খলিল বিএসএফের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এরপর বিএসএফ সদস্যরা খলিলের লাশ তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়। ঘটনার দিন দুপুরে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে বিএসএফ কুচবিহার হাসপাতালে খলিলের লাশ ময়না তদন্ত শেষে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়। সেই আশ্বাসে আজ বুধবার রাত পনে ৯টায় খলিলের লাশ ময়না তদন্ত শেষে একটি কফিনে করে হস্তান্তর করে।
নিহত খলিলের স্ত্রী শেফালী বেগম জানায় তার স্বামী বাড়ির ধারে ছোট একটি ধানভাঙ্গার মেশিন বসিয়ে ব্যবসা করতো। গত সোমবার(১৪ জানুয়ারী) বিকালে সে বাড়ি হতে গ্রামের ঠাকুরগঞ্জ বাজারে যায়। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সকালে লোক মুখে জানতে পারি আমার স্বামী ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে।