আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবায় দুরবস্থা কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে!

শনিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৯, দুপুর ১১:৩৪

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামজেনারেল হাসপাতালসহ জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবায় দুরবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এ সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিষয়টির সুরাহা মিলছে না। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৪২ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৪ জন। এর মধ্যে মাত্র একজন জরুরি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। আর প্রতিদিন বহির্বিভাগে হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেও সেখানে দায়িত্বরত রয়েছেন মাত্র আট জন চিকিৎসক। ফলে কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। কুড়িগ্রামজেনারেল হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তিরোগী ছাড়াও বহির্বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি হলেও চিকিৎসক সংকটে তারা মানসম্মত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আর জরুরি বিভাগে মাত্র একজন মেডিক্যাল অফিসার থাকায় বেশির ভাগ সময় উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রোগীদের মাধ্যে প্রশ্নতৈরি হয়েছে। এদিকে, প্রায় এক বছর আগে হাসপাতালে একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন স্থাপন করা হলেও প্রিন্টার মেশিন সেটআপ দেওয়ার অভাবে এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থশ্রেণির জনবল সংকটও রয়েছে হাসপাতালটিতে। ফলে হাসপাতালের দাফতরিক কাজসহ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীনুর রহমান সরদার চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসকদের ৪২টি পদের বিপরীতে ২৮টি পদই শূন্য রয়েছে। আর মেডিসিন বিভাগে কোনও চিকিৎসক না থাকায় নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যাচ্ছে না। সেবা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব এবং জরুরি বিভাগসহ আউটডোর সেবায় চিকিৎসক সংকট থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’ ডা. শাহীনুর রহমান আরও বলেন, ‘এক বছর আগে হাসপাতালে একটি নতুন ডিজিটাল এক্সরে মেশিন বসানো হলেও সেটি চালু না থাকায় এর সেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হলেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি।’ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বাববার বলা হলেও কোনও সমাধান হচ্ছে না। এতো স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে ২৫০ শয্যার একটি হাসপাতালে মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব নয়। কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক বরাদ্দ না দিলে আমাদের কিছুই করার নেই।’ কুড়িগ্রামে অবস্থানে চিকিৎসকদের অনীহার কথা জানিয়ে তত্ত¡াবধায়ক বলেন, ‘অনেক সময় কিছু চিকিৎসকের পোস্টিং দিলেও তারা অল্প সময়ের মধ্যে আবারও বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। প্রত্যন্ত এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র হওয়ায়, এখানে চিকিৎসকরা থাকতে চান না। হয়তো তারা জীবনমানের উচ্চাকাঙ্খার জন্য কুড়িগ্রামে থাকতে চান না।’ কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জেলার জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও ৯টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ৭১ শতাংশ খালি পদ রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম চিকিৎসক দিয়ে কোনও রকমে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আরও চিকিৎসক চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’ স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় চিকিৎসকদের পোস্টিং দেওয়া হলেও এ জেলায় চিকিৎসকরা থাকতে চান না। প্রাইভেট প্রাকটিসে রোজগারের স্বল্পতার কারণে বিভিন্নট্রেইনিং, উচ্চ শিক্ষা কিংবা অন্যকোনও অজুহাতে জেলা ত্যাগ করে পছন্দের জায়গায় পোস্টিং নিয়ে চলে যান তারা। ফলে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied