গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর রেহেনা (২৪) নামে এক গৃহবধূর গলা ও হাত কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই গৃহবধূর শ্বশুর আইজার রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় মদনতাইড় বিলে ওই গৃহবধূর লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ছয় বছর আগে উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের মদনতাইড় বাড়ইপাড়া গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের মেয়ে রেহেনার সঙ্গে পাশের কুড়িপাইকা গ্রামের আইজার রহমান প্রধানের ছেলে শাকিলের (৩০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর রেহেনার বাবা যৌতুক হিসেবে দেড় লাখ টাকা ও আসবাব পত্র দিয়ে ঘর সাজিয়ে দেন। কিন্ত এতে সন্তুষ্ট হয়নি শাকিল ও তার পরিবার। তাই আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক আনতে বিয়ের পর থেকেই রেহেনাকে চাপ দিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন তারা। রেহেনার সংসারে এরই মধ্যে এক সন্তান জন্ম নেয়। সেই সন্তানের কথা ভেবে নির্যাতন সহ্য করেও সংসার করতে থাকেন তিনি।
পাঁচ মাস আগে রেহেনা যৌতুকের টাকা আনতে ব্যর্থ হওয়ায় তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মারপিট করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গত ২৬ জানুয়ারি রেহেনা বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় শাকিল মুঠোফোনে তাকে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন। সেই কথা মোতাবেক রেহেনা ওই দিনই শ্বশুর বাড়িদে রওনা দিলে সেই থেকে নিখোঁজ হন।
আজ দুপুরে স্থানীয় মদনতাইড় বিলে স্থানীয় লোকজন গোসল করতে নামলে পচাঁ গন্ধ পায়। সেখানে কচুরী পানার নিচে রেহেনার গলা ও হাত কাটা লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন রেহেনার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকেই রেহেনার স্বামী শাকিল পলাতক আছে। তার শ্বশুর আইজারকে আটক করা হয়েছে।’