আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল       নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার      

 width=
 

নীলফামারীকে ভিক্ষুকমুক্ত কার্যক্রম শুরু

সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রাত ০৯:৩০

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী ৪ ফেব্রুয়ারি॥ নীলফামারী জেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত করণে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুর্নবাসন কর্মসুচী শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ সোমবার(৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভিক্ষুক মুক্ত করণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। এতে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন। এ সময় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া। জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলায় ৫ হাজার ৩০৫জন ভিক্ষুক রয়েছেন। এদের মধ্যে নীলফামারী সদরে ৯৯৪জন, সৈয়দপুরে ৫৩৫জন, কিশোরীগঞ্জে ১২৫৪জন, জলঢাকায় ৪০৮জন, ডিমলায় ৯৮৩জন এবং ডোমারে ৫৭৪জন। এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১২৫৪জনকে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির আওতায় পুর্নবাসন করা হয়েছে। অপর ৫ উপজেলার ৪ হাজার ৫১ জনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করণে ভিক্ষুকমুক্ত করায় আওতায় নিয়ে আসা হবে। জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভিক্ষুকমুক্ত প্রকল্পের আলোকে নীলফামারীতে ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িতদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে পুর্নবাসন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি চলমান থাকবে এবং তাদের সরকারীসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে। যা আজ সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর বলেন, এই অঞ্চলে এখন আর মঙ্গা নেই ঠিকই মানুষের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিক্ষুক মুক্ত করতে সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তারই বাস্তবায়ন করছি আমরা। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ৬০জন ভিক্ষুকের মাঝে একটি করে কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied