আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

রংপুরে ফুল ফুটতেও মানা..

বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সকাল ০৭:৫৬

রবিউল ইসলাম দুখু: বাগানে গোলাপে পড়ানা হচ্ছে ক্যাপ। খুবই সাবধানতার সাথে এ ক্যাপ পড়ানো হয়। যাতে গোলাপ আঘাত না পায়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে পান্ডারদিঘি এলাকায় আব্দুল কাদেরের ফুল বাগানে গিয়ে এ দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। সামনে পহেলা ফাল্গুন। বাজারে গোলাপের চাহিদা বেশ থাকে।গোলাপ আগেই যাতে না ফোটে সেজন্য ক্যাপ পড়ানো শুরু করেছেন এই ফুলচাষি। আব্দুল কাদের জানান,প্রতি বছর বসন্তে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। একারনে আগে থেকেই ফুলের বাগানে পরিশ্রম শুরু করে দেন। পর্যাপ্ত ফুলের সরবরাহ করতে প্রচুর পরিশ্রম করেন। শেষের দিকে এসে শুরু করেন ক্যাপ পড়ানো। তিনি জানান, অনেক সময গোলাপ আগেই ফুটে। এতে করে লোকসানে পড়তে হয়। তাই প্রতি বছর বসন্তের আগে গোলাপে ক্যাপ পড়ান। তিনি জানন, ১৯৯৫ সালে ৪০ শতক জমিতে গোলাপের চাষ চাষ শুরু করেন।এখন তার ১০০ শতক জমিতে গোলাপ রয়েছে। গত সোমবার থেকে পরিবারের লোকজনসহ কর্মচারি নিয়ে গোলাপে ক্যাপ পড়ানো শুরু করেছেন। আগামী ৮/১০ তারিখের মধ্যে সমস্ত গোলাপে ক্যাপ পড়ানো শেষ হবে।আবারো বাড়তি কর্মচারি নিয়ে ১১ তারিখ থেকে ফুল তোলা শুরু করবেন। পহেলা ফাল্গুনের সকাল পর্যন্ত ফুল তোলবেন। এবার তার বাগানো ৫ হাজারেরও অধিক গোলাপ রয়েছে। তিনি প্রতি পিচ গোলাপ ৮ টাকায় বিক্রি করে থাকেন। ৮ টাকা পিচ হিসেবে এবার তার আয় হবে ৪ লাখ টাকা।এপর্যন্ত ২ জন ফুল ব্যবসায়ী ১ হাজার ফুলের অগ্রিম অর্ডার দিয়েছেন । আগামী ১০ তারিখের মধ্যে সকল ফুলের অর্ডার পাবেন বলেও জানান। গত বছর ভালো বেচা বিক্রি হয়েছে। তিনি জানান, রংপুর নগরীর সিটি বাজারে ক্যাপ পাওয়া যায়। সেখানে প্রতি পিচ ক্যাপের দাম নেয়া হয় ১টাকা। পর্যায়ক্রমে নিয়ে এসে ক্যাপ পড়ানো শুরু করেন। সিটি বাজারের ক্যাপ স্টোরের মালিক লিয়াজ আহমেদ জানান, ফুলচাষিরা বসন্তের আগে ক্যাপ কিনে নিয়ে যায়।তিনি প্রতি পিচ ক্যাপ ১টাকায় বিক্রি করেন। এ সময় তার বেশ বিক্রি হয়। তার কর্মচারি আলেকজান বেগম জানান, ফুলে ক্যাপ পড়ানো দৃশ্য দেখার জন্য অনেকেই বাগানে আসেন। রংপুর কৃষি সস্প্রসাধরণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক আবু সায়েম জানান,কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আব্দুল কাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রণোদনা ও সহযোগিতা করা হয। জানা যায়, রংপুর মহানগরীসহ জেলায় অর্ধশতাধিকেরও বেশি ফুলচাষি রয়েছে। আর মহানগরীতে ফুল ব্যবসায়ী রয়েছেন ৩০জন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied