আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

মাঘের শেষে হঠাৎ বৃষ্টি॥ বাংলার শীত-বদল ছুঁয়ে ফেলেছে

শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বিকাল ০৭:২৪

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী ৯ ফেব্রুয়ারি॥ ক্যালেন্ডারে বাংলা মাসের পাতায় মাঘের শেষ সময় গুনছে। ফাগুন-হাওয়ায় বসন্তের আভাসে এবার বাংলার শীত যেন বদল ছুঁয়ে ফেলেছে। টিপটাপ ঝুমঝুমানি বৃষ্টি চলছে উত্তবঙ্গের নীলফামারী সহ পাশ্ববর্তী এলাকায়। গতকাল শুক্রবার(৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর হতে শুরু করে আজ শনিবার(৯ ফেব্রুয়ারী) দিনভর টিপটাপ এই বৃষ্টি চলছেই। বৃস্টির সঙ্গে উত্তুরী ফাগুনি হাওয়ায় এবার শীত নতুন রূপে নেমেছে। তবে এই বৃষ্টি জনজীবনে ব্যাঘাত সৃস্টি করলেও অপ্রত্যাশিত এ বৃষ্টি কৃষি ও কৃষককে অনেকটাই প্রশমিত করতে পেরেছে। খনার বচনে আছে, যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পূর্ণ দেশ। শেষ মাঘে আকস্মিক বৃষ্টিতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সর্বস্তরের মানুষ। আমের মুকুল ধরে রাখতেও বৃষ্টির উপকারিতাও রয়েছে। লিচু, পেঁয়াজ, রসুনের জন্যও এই বৃষ্টি কিছুটা উপকারি। তবে সেচ নির্ভর বোরো ধান আবাদে চাষীদের জন্য অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে এই বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে কৃষকরা এখন আগাম পাট চাষের প্রস্তুতি নিতে পারবে। এদিকে আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নীলফামারীর তিস্তা অববাহিকায় বৃষ্টিপাত ৭ মিলিমিটার ও জেলা জুড়ে গড় বৃস্টিপাত রেকর্ড হরা হয়েছে ৭ দশমিক ৬৭ মিলিমিটার। সকাল ৯টায় এই পরিমাপ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হলেও দিনভর টিপটাপ বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। সুর্য্যরে মুখ দেখা মেলেনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা কৃষি বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোড। অপরদিকে দিনভর বৃষ্টির কারণে শহর ও গ্রামের রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল কমে গেছে। সদর উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের রিকশাচালক ওসমান আলী (৫৪) বলেন,২০ বছর ধরি মুই টাউনত রিকশা চাঁলাও। বৃষ্টির তেনে রাস্তাত মানুষ জন কম। কামাইও কম। তারপরও পেটের দায়ে রিকশা চালাছি। কিন্তু বৃষ্টির সাথে ঠান্ডা হাওয়া শরীরটাক একখেরে কাবু করে দিছে বাহে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কামাল আজাদ বললেন, এই বৃষ্টি এখানকার ফসলের জন্য রহমত। বিশেষ করে সেচ নির্ভর বোরো ধান, ভুট্টার জন্য মহা উপকার হয়েছে। সেই সঙ্গে শুকিয়ে যাওয়া মাটি পানিতে ভিজে প্রাণও ফিরে পেল। এতে করে আম,লিচু সহ মৌসুমী ফলের গাছের মুকুলগুলো তরতাজা হয়ে উঠলো। তিনি জানান, বৃষ্টি নিয়ে খনার বচন যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পূর্ণ দেশ। মাঘ শেষে ফালগুনের বসন্ত আসছে এতে জমির ফসলের রোগ-বালাই ধুয়ে গেল।

মন্তব্য করুন


 

Link copied