সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার স্কুল শিক্ষক জামাত আলী রংপুরের মিঠাপকুর উপজেলার আরেক শিক্ষকের মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার আটক ওই শিক্ষককে চুরির অপরাধে রংপুর জেল হাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। ধৃত জামাত আলী সাদুল্লাপুর উপজেলার বৈষ্ণবদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও বৈষ্ণবদাস গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে।
মিঠাপকুর থানার এসআই শফিকুল হক বলেন, মিঠাপকুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৯ ফেব্রæয়ারী পরীক্ষা চলাকালে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ কেন্দ্রের স্থাপতি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়ে চুরির দৃশ্যটি। পরে পুলিশ সিসিটিভির ভিডিও দেখে ঘটনার সাথে জড়িত জামাত আলী মাষ্টারকে আটক করা হয়। তার জবানবন্দি মোতাবেক পুলিশ মঙ্গলবার রাতে পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন থেকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ আব্দুল মান্নান সরকার নামের অপর একজনকে আটক করে। মান্নান সরকার গোবন্দিগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট এলাকার মৃত জালাল সরকারের ছেলে।
মিঠাপকুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া বলেন, চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি বড়দগাহ এলাকার কাওছার আলী মাষ্টারের।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মিঠাপকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাফর আলী বিশ^াস জানান, মান্নান সরকার চোরাই মোটরসাইকেল কারবারির মূল হোতা। জামাত আলী বিভিন্ন এলাকার মোটরসাইকেল চুরি করে তার কাছে বিক্রি করে। ধৃত দুইজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৈষ্ণবদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন গোলাপ এর নিকট যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
নামপ্রকাশের অনিচ্ছুক অপর এক শিক্ষক জানান, এর আগেও গাইবান্ধা আর-রহমান হোটেলে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনটায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জামাত আলী মাষ্টারকে সনাক্ত করা হয়েছিল।
সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মনিরুল হাসান বলেন, জামাত আলীর ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থার নেয়া যেতে পারে।