আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

নীলফামারীতে গরু চুরি বেড়েছে

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, দুপুর ০২:১৩

বিশেষ প্রতিনিধি॥ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। প্রায় প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। কৃষি নির্ভর এলাকার পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত জানুয়ারি মাস হতে চলতি মাস পর্যন্ত নীলফামারীর ছয় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে মন্তব্য করে বলে গত দশ বছরে এলাকায় গরু চুরি সহ বিভিন্ন চুরি ঘটনা একেবারেই ছিলনা। হঠাৎ করে মাদক বিস্তারের মতো গরু চুরি বেড়ে গেছে। গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নম্বরবিহীন ট্রাক, চাঁদের গাড়ি, পিকাপ, সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা। আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক মামলাই রেকর্ডভুক্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থরা প্রতিকার পাবেন না এ আশংকা বা পুলিশি হয়রানির ভয়ে থানায় অভিযোগও দেন না। ফলে চোরের দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বিঘেœ। ফলে কৃষকরা রাত জেগে গোয়াল ঘর পাহাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছে। গ্রামের কৃষকদের অভিযোগ গরু চুরি সঙ্গে বেশ কিঝু জনপ্রতিনিধিও জড়িত। গ্রাম্য পুলিশও থাকে নিরব। এ ছাড়া পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চুরি করে যাচ্ছে। আজ শনিবার জলঢাকা উপজেলার শালনগ্রামের আব্দুল মোনেম সাংবাদিকদের জানান মোটরসাইকেল বিক্রি করে ৭০ হাজার টাকায় দুটি গাভী গরু কিনেছিলাম। একটি গাভী বাছুর দিয়েছে অপরটির পেটে বাচ্চা রয়েছে। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাড়ির গোয়াল ঘর হতে গাভী দুইটি বাছুর সহ চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এসে ঘুরে গেছে। জলঢাকার কৃষকরা জানায় বালাগ্রাম ইউনিয়নের চোর চেয়ারম্যান গরু চুরি হোতা। তার নেতৃত্বে রয়েছে মোফাজ্জল। এরা মাঝে মাঝে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। বেশ কিছুদিন জেলে থেকে পুনরায় ছাড়া পেয়ে এসে আবার চুরি শুরু করে। এরা গরু চুরি করে জেলার বাহিরে চলে যায়। এদিকে গত ৩০ জানুয়ারী জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া গ্রামে খোদ পুলিশ বিভাগের এক এসআই মোবারক আলীর গ্রামের বাড়ির একটি গাভী ও দুইটি বাচ্চি গরু চুরি হয়। তার পরের দিন ৬টি গরু চুরি হয় পার্শ্ববর্তী কচুকাটা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের বাড়ির ৬টি বলদ গরু। এ সকল গরুর মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। এই দুই ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এই দুই স্থানে গরু চুরি ঘটনায় পুলিশ বেশ নড়েচরে বসে। অভিযান চালিয়ে কচুকাটার গরু চোর কাল্টুকে আটক করে। সে গরু চুরি কথা স্বীকার করলে তার তথ্য মতে পুলিশ অভিযান চালায় রংপুরের তারাগঞ্জ বাজারে। সেখানে আটক করা হয় মাংস বিক্রেতা মিজানকে। তারা পুলিশ ও আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় গরু চুরির পর তারা জবাই করে তারাগঞ্জ বাজারে মাংস বিক্রি করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে ফেলাপীরের মমতাজ ও কচুকাটার মোস্তফাও জড়িত। ডোমার উপজেলার গোমনাতী,ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাইন টেপাখড়িবাড়ি, সৈয়দপুর উপজেলা কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় বেশ কিছু কৃষকের বাড়িতেও গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলামের(৪৮)বাড়িতে (১৩ জানুয়ারী) গভীর রাতে ১০/১২জন চোরের দল প্রবেশ করে। তারা ওই কৃষকের ১৪টি আড়িয়া গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে ওই কৃষকের পরিবার বাধা দেয়। এ সময় চোরেদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উক্ত কৃষক ও তার স্ত্রী জয়তু নেছা(৪০), ছেলে জামাল হোসেন (২৫) ও ভাই সামছুল ইসলাম(৪২) আহত হয়। গ্রামবাসী ছুটে এলে গরু চোরেরা ধারালো অস্ত্র ফেলে পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত ওই চারজনকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয় তারা এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপর দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বড়দহ শাহ পাড়া গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান শাহ-চারটি গরু চুরি যায়। এ ঘটনায় কুখ্যাত গরু চোর আব্দুল আলিমকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্য মতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উক্ত ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলামের শ্যালক নাজমুল হোসেনের বাড়ি থেকে তিনটি এবং শ্বাষকান্দর গ্রামের ডাঙ্গাপাড়ার খায়রুল ইসলামের বাড়ি থেকে একটি গরু উদ্ধার করে। অনেক কৃষক জানায় তারা গাভী পালন করে দুধ বেঁচে সংসারের খরচ বহন করে। এ ছাড়া কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে। রাতের বেলায় যেসব সড়কে আলো থাকে না কিংবা অনেকটা নির্জন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত বিশেষ করে সে সব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা খুলে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। রাতে গাড়ির ভেতরে গরু দেখলে আটক করতে ভয় পায় জনতা। কারণ পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে কাউকে আটক করা হয় না। যে কারণে সহজে পার পেয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। গরু চুরি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমিন বলেন আমরা এ ব্যাপারে কঠোরতার পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সকল গরু চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে সব মামলা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কোথাও গরু উদ্ধার সহ গরু চোর আটক করা হচ্ছে। এ ছাড়া গরু চোর সহ আমরা মাংস ব্যবসায়ীরে দিকেও নজরদারি করছি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied