আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়ক উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহনের টাকার দাবিতে সড়ক অবরোধ

রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বিকাল ০৭:৪৭

বিশেষ প্রতিনিধি॥ নীলফামারীতে সড়ক সম্প্রসারণের জমি অধিগ্রহনের টাকার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা। আজ রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে চড়াইখেলা ইউনিয়নের দাড়োয়ানী পিলার নামক স্থানে প্রায় দেড়ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে। এসময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে ওই সড়কে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহনের টাকা প্রদানের আশ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে নীলফামারী-সৈয়দপুর সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয় গত বছরের ২ আগস্ট। কাজ শুরুর দীর্ঘ দিনেও অধিগ্রহন করা জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্তরা। অপরদিকে ঠিকাদার ওই সড়কের দুই ধারের জমি দখল ও স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। একরামুল হক বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপুরনের টাকা বুঝে দেওয়ার কথা বলে ঠিকাদার আমাদের স্থাপনা সরিয়ে জমির ওপর কাজ শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘ চার মাসেও আমরা আমাদের টাকা পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকার দাবি করছি আমরা। সূত্রমতে, ১৮ ফিট প্রসস্তের নীলফামারী-সৈয়দপুর সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কটি ৪২ ফিটে উন্নীতকরণে ২০১৭ সালে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওয়াত ২২৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেয় একনেক। দরপত্র গ্রহন শেষে এক বছরের সময় নির্ধারণ করে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে গত বছরের ২ আগাস্ট কার্যাদেশ দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ওই সড়ক সম্প্রসারণে ৫৪ দশমিক ৬১৫ একর জমি অধিগ্রহনে জেলা প্রশাসনকে গত বছরের জানুয়ারী মাসে প্রস্তাবনা দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারী পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৭৭ একর জমি সড়ক বিভাগকে বুঝে দেয় জেলা প্রশাসন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম হামিদুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৬২ কোটি টাকার এস্টিমেট দিয়েছেন, আমরা ১০২ কোটি টাকা প্রদান করেছি। নতুন করে আর কোনো এস্টিমেট পাইনি। সেটি পাওয়ার পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনুর আলম বলেন, নীলফামারী-সৈয়দপুর সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে জমি অধিগ্রহন চারটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি অংশে ৬১ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে ফিল্ড বুক করে জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারনের জন্য গণপূর্ত বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয় অংশে ফিল্ড বুকের কাজ আজকের মধ্যে শেষ করে এর দর নির্ধারনের জন্য কাল পরশুর মধ্যে গণপূর্ত বিভাগে পাঠানো হবে। সেটি পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগে পাঠানো হবে। সব মিলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied