আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

লালমনিরহাটে মেধাবী ছেলেকে বাঁচাতে ভিক্ষায় নেমেছেন

সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, দুপুর ১০:২৭

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লেখাপড়ার খরচ যোগাতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ঢাকার একটি হোটেল চাকুরী নেয় অদম্য আকাশ আহমেদ বিপ্লব(১৪)। ঢাকায় চাকুরী নিয়েও লেখাপড়া বন্ধ করে নি। কিন্তু হঠাৎ করে শারিরীক অবস্থা খারাপ হওয়া শুরু করলে লেখা পড়া বন্ধা হওয়ার উপক্রম। সে বুঝতেই পারেনি তার শরীরে মরন ব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। আকাশ আহমেদ বিপ্লব লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামের রিক্সা চালক আবেদ আলীর ছেলে। সে মহিষখোচা বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র। জানা গেছে, ভুমিহীন বাবার রিক্সা চালানো আয়ে তাদের চার সদস্যের সংসার টেনে টুনে চলে যেত। অর্থাভাবে প্রায় সময় পড়াশুনার বন্ধের উপক্রম হয় আকাশের। কিন্তু তবুও হাল ছাড়েনি। তার বাবা ঢাকায় রিক্সা চালাত। ছোট ভাই ও মাকে নিয়ে বাড়িতে থাকত আকাশ। গেল বছর বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে বাড়তি আয়ের আশায় ঢাকায় বাবার কাছে গিয়ে একটি হোটেলে চাকুরী নেয় সে। ইচ্ছে ছিল ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্লাশ কম তাই কিছু আয় করে পুনরায় বিদ্যালয় মুখি হবে। কিন্তু বিধি বাম। কাজের চাপে প্রায় অসুস্থতা অনুভব করে সে। চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হলে ঔষধ সেবন করে কিছুটা সুস্থ হলেও পিছু ছাড়ত না অসুস্থতা। অবশেষে শরীরের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রোগ নির্নয় করেন স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ট হাসপাতালের রক্তবিভাগের অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম । সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তার বাবাকে জানান, আকাশের শরীরে বাসা বেঁধেছে ব্লাড ক্যান্সার তথা বোনমেরু রোগ। যার চিকিৎসা আমাদের দেশে নেই। সিঙ্গাপুর, ভারতের চেন্নাই বা ভেলরে নিতে হবে। অস্ত্রপাচার করে বোনমেরুর চিকিৎসা করাতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ৮/১০ লাখ টাকা। চিকিৎসকদের এমন কথায় নির্বাক হয়ে পড়েন রিক্সা চালক বাবা। সান্তনা চিকিৎসাপত্রসহ অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরেন রিক্সা চালক আবেদ আলী। অর্থাভাবে দিন দিন মৃত্যু দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আদরের সন্তান আকাশ। দৈনিক ঔষধ খরচ ৫/৬শত টাকাসহ সংসার খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়েছে তার। চোখের সামনে মৃত্যুর দুয়ারে সন্তানকে এগিয়ে যেতে দেখে ছটফট করছেন রিক্সা চালক আবেদ আলী। কিন্তু চোখের জল ছাড়া কোন সম্পদ নেই। যা বিক্রি করে সন্তানের চিকিৎসা করাবেন। ফুটফুটে সন্তান আকাশের মুখে পুনরায় হাসি ফুটাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে ভিক্ষা করছেন তিনি। আবেদ আলী জানান, ছেলেকে বাঁচাতে ভিক্ষায় নেমেছেন। সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। তার সাথে যোগাযোগ করুন - ০১৭২৫০৪২৪০৩। ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক মানিক চন্দ্র জানান, আকাশ মেধাবী ছাত্র। তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। আকাশকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied