অভিনেতা শচীন: অভিনয়ের ক্ষেত্রে বয়স কোন বিষয় না। বলিউডে এমন অনেক অভিনেতা আছেন যারা অনেক দেরিতে এসে তাদের ক্যারিয়ারে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। শচীনের বয়স এখন চল্লিশ। সেই বিবেচনায় মাস্টার ব্লাস্টারের জীবনমাত্র শুরু। ক্রিকেটে তার যে জনপ্রিয়তা আছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে বলিউডেও তিনি প্রতিষ্ঠা পেতে পারেন। তাছাড়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিজে রয়েছে তার বিগ বি অমিতাভ বচ্চন, মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট আমির খান এবং ভলিউড বাদশাহ শাহরুখের মত বাঘা বাঘা ভক্ত।
লেখক শচীন: শচীনকে নিয়ে লেখালেখি নতুন কিছু নয়।কিন্তু ক্রিকেট ঈশ্বর নিজের আত্মজীবনী যদি নিজেই লেখেন তবে সেটা হবে ভক্তদের জন্য বিরাট আনন্দের একটা ব্যাপার। বিদায় বেলায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে সকল শুভানুদ্ধায়ীদের উদ্দেশ্যে আবেগঘন এক বক্তব্য দিয়েছেন কিংবদন্তী এ ক্রিকেটার। অশ্রু ঝরেছে শচীন ভক্তদের চোখ বেয়ে। তাই এই মানুষটি যদি লেখকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তবে সেই বই বিক্রির দিক থেকে যে রেকর্ড অতিক্রম করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
জ্যোতিষী শচীন: ক্রিকেট সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান আছে লিটল মাস্টারের। আছে দীর্ঘ ২৪ বছরের অভিজ্ঞতাও। তাছাড়া আছে বহু ম্যাচ জেতার, রেকর্ড করার ও ইতিহাস ভাঙার অভিজ্ঞতা। তাই নিজেকে তিনি সহজেই একজন পারফেক্ট জ্যোতিষী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। ক্যারিয়ারের খুব অল্প বয়স থেকেই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছেন শচীন।যার কারণে বর্তমান তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের শক্তি সামর্থ, দুর্বলতা এবং মানসিক অবস্থা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন তিনি। ক্রিকেট পিচের অবস্থা ও আবহাওয়া সম্পর্কেও দিতে পারবেন নির্ভুল ধারণা। এভাবে তিনি যেকোন খেলার ভবিষ্যৎবাণী করে দিতে পারেন একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর মতই।
অতিথিসেবক শচীন: ক্রিকেট ক্যারিয়ারে দুটি দশক পার করেছেন লিটল মাস্টার। বিশ্বের অনেক দেশ তিনি ঘুরেছেন, খেলেছেন অসংখ্য মাঠে। শিখেছেন বিভিন্ন দেশের মানুষের আচার আচরণ, সংস্কৃতি ও খাদ্যাপ্রনালী সম্পর্কে। সুতরাং যেকোন ট্রাভেল পোর্টাল, চ্যানেল, ওয়েবসাইট অথবা ট্রাভেল ম্যাগাজিনগুলো যদি শচীনের এই জ্ঞান ব্যবহার করতে পারে তবে সেগুলো হবে আরো বেশি সমৃদ্ধ।
রাধুঁনী শচীন: ভোজন রসিক হিসেবে বেশ পরিচিতি আছে শচীনের। রাধতেও জানেন ভালো। যেকোন খাবারের নমূনা একবার দেখেই বলে দিতে পারেন তার নাম। বন্ধু সঞ্জয় নারংয়ের সঙ্গে একটি রেস্টুরেন্টও খুলেছিলেন শচীন। মুম্বাইয়ের সি ফুড রেস্টুরেন্ট গাজালি তার প্রিয় রেস্টুরেন্টের মধ্যে অন্যতম। তাই এই পেশা থেকেও তিনি শুরু করতে পারেন অবসর পরবর্তী মিশন।