আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় চকবাজারের আগুনে সব শেষ

বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রাত ১০:২০

ডেস্ক: চোখে নতুন জীবনের একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বিয়ে পিঁড়িতে বসেছিলেন তরুণ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান রাজু (৩০)। কিন্তু বিয়ের মাসটাও কাটল না; ২৪ দিনের মাথায় তছনছ হয়ে গেল সব স্বপ্ন। গতকাল বুধবার রাজধানীর চকবাজারের আগুনে দগ্ধ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন রাজু। একই পরিণতি হয়েছে তার বড় ভাই মাসুদ রানার। নবপরিণীতা বধূকে কীভাবে স্বান্ত্বনা দেবেন- সেটা ভেবেই আকুল দুটি পরিবার। জানুয়ারির ২৮ জানুয়ারি আবুল খায়েরের মেয়ে আফরোজা সুলতানা স্মৃতির সঙ্গে বকশীবাজার এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ধুমধাম করে বিয়ে হয় সাহেব উল্লাহর মেঝ ছেলে মাহবুবুর রহমান রাজুর। নিহত মাসুদ ও রাজুর বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী এলাকায়। তারা সপরিবারে চকবাজার এলাকায় বসবাস করেন। পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস ছিলেন দুই ভাই। সবার ছোট ভাই মিরাজ এখনো পড়ালেখা করেন। ঢাকা মেডিক্যালে লাশ নিতে এসে রাজুর শ্বশুর আবুল খায়ের কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, 'এই ছিল কপালে! কত আয়োজন করে বন্ধু সাহেব উল্লাহর ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস মাস না যেতেই মা (মেয়ে) আমার বিধবা হলো। ওর সামনে আমি কী করে দাঁড়াব?' জানা গেছে, চকবাজারে ওয়াহেদ ম্যানসনের নিচতলায় রাজু ও রানা দুই ভাই মিলে রানা টেলিকম সার্ভিস নামে একটি দোকান পরিচালনা করতেন। ওই ভবনটিতেই গতরাতে আগুন লাগে। পরে এই আগুন আশপাশেও ছড়িয়ে যায়। আগুন থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে দুই ভাই দোকানের শাটার নামিয়ে দেন। পরে সেই দোকানেই একসঙ্গে দগ্ধ হয়ে মারা যান তারা। আজ দুই ভাইয়ের লাশ সনাক্ত করে নিয়ে গেছে তাদের পরিবার। উল্লেখ্য, বুধবারের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭৮জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এর মধ্যে ২২ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকী লাশগুলোর বেশিরভাগই আগুনে এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, সনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া উপায় নেই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied