আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

"সালিশ মানি, তালগাছ আমার"

রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ১১:৫৫

প্রধানমন্ত্রী  মানুষের কষ্টে ব্যথিত, তাদের কষ্ট প্রধানমন্ত্রী নিজের কষ্ট হিসেবে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি আমাদের দেশ, জাতি ও মানুষের অভিভাবক। আমাদের নিয়েতো তাকে ভাবতেই হবে। গণতন্ত্র চর্চায় এ বক্তব্য প্রশংসার দাবী রাখে। আর তাইতো তিনি বলিষ্ঠ কন্ঠে ঘোষনা দিয়েছেনÑ আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের শান্তি চাই। দেশের নির্বাচন কালীন এই সংকটের সময়ে তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি ধরেই নিয়েছেন দেশের মানুষ শান্তিতে আছে এবং তাকেই প্রধানমন্ত্রী চাইছে। না কি তিনি বুঝে গেছেন  মানুষ শান্তিতে নাই। আর তাই কি তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ আকড়ে বসে আছেন, আবার গো ধরেছেন সর্বদলীয় সরকারের প্রধান তিনিই হবেন। এর নাম কী গণতন্ত্র? যার ফলাফল আগেই ঠিক করা থাকে যে দেশে সর্বোদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং শেখ হাসিনাই হবেন তার প্রধান। গ্রামে একটি কথা প্রচলিত আছে সালিশ মানতে পারি তালগাছটা আমারই। দেশের বর্তমান সংকটে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ তেমনই একটি সালিশ ব্যবস্থা সেট করেছে। যেখানে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং তার প্রধান থাকবেন স্বয়ং শেখ হাসিনা। ন্যুনতম যোগ্যতা সম্পন আর কেউ কী নেই? যিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলের আস্থাভাজন ও সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হতে পারেন। এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন রাজিৈতক দলের গোয়াত্তমি দেখলে এক নতুন হাসির কথা মনে পড়ে মনের ভিতর থেকে যে হাসি আসে তাই অট্টহাসি, হা..হা..হা। খুব উচ্চস্বরে মনের ভিতর থেকে এই হাসি আসে। যা আমরা পারিবারিকমন্ডলে দিলখোলা ভাবে হেসে থাকি। কিন্তু বর্তমান আর্টিফিসিয়াল সময়ে অট্টহাসি খুব একটা দেখাই যায় না। আমরা নতুনভাবে হাসতে শুরু করেছি আর্ট করে, একটু চেপে রেখে, মুখটাকে সুন্দর করে....হেহ হেহ হে! এই হাসির নাম আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার দিয়েছেন ‘ছাগ’ হাসি। আজ গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো যারা আর্ট জানেনা তারাও প্রধানমন্ত্রীর কথায় ‘ছাগ’ হাসি হাসেন। অট্টহাসি দিয়ে আবার বিপদে পড়বে না কি, দেয়ালেরওতো কান আছে। প্রশাসনতো আবার দলীয়, প্রজাতন্ত্রের নয়। তাই এখন তারাও অভিনয় শিখে ছাগ হাসি দেয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। যদি শান্তিই চান তবে, প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিন, পদত্যাগ করুন। দেখবেন মানুষ ছাগ হাসি হাসবে না। দেখবেন কিভাবে জনগন বাহবা দেয়। আপনার নেমক খাওয়া দালালদের প্রশংসা শুনে ভাববেন না, সাধারন মানুষও আপনার ও আপনার সরকারের প্রসংসা করে। তারাতো নেমক খায় না, তাই নেমক হারামির প্রশ্ন আসেনা। হরতাল ব্যাপারটা মোটেই সুখকর কোনো বিষয় নয়। আমরা সাধারন মানুষ একটু শান্তি চাই, হরতাল-অবরোধের মতো অনাকাঙ্খিত গণতান্ত্রিক চর্চা আমাদের জীবনকে বিপর্যস্ত করুক তা চাই না। সে জন্য সরকারী দলকেও নমনীয় হতে হবে। বিরোধী দলের প্রতি অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন করা চলবে না। তাদের দাবির প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে। আর বিরোধী দলকেও সর্বোচ্চ ছাড় দেবার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলে পাটা পুতোয় ঘষাঘষির যন্ত্রনা থেকে মরিচও বাঁচবে আর আমরা সাধারন মানুষও হাফ ছেড়ে বাঁচব। দলীয় সরকার প্রধানের অধীনে নির্বাচনের চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ভালো। সর্বদলীয় সরকার ব্যবস্থা তত্ত্বাবধায়কের মতো বরং ভালো এবং সংবিধান সম্মত। কিন্তু যে নেতার বিরূদ্ধে অন্যদের বিন্দু পরিমান আস্থা নাই, তিনিই কেন সর্বোদলীয় সরকারের প্রধান থাকবেন? তাকেই কেন সর্বোদলীয় সরকারের প্রধান হতে হবে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার গ্রহনযোগ্যতা আপনি পুনরায় প্রমান করুন। আবার নির্বাচিত হয়ে, ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্বভার গ্রহন করুনÑ আপনি যে সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হতে চান না, মানুষের শান্তি চান, তা প্রমানের এই সুযোগ। একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করতে হলে, দেশের মানুষের শান্তি চাইলে এখনই উপযুক্ত সময় প্রমান করার। আপনার মহত্ব প্রকাশে, ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হোক এদেশের সাধারন মানুষ। প্রবাদটি আবার প্রমানিত হোক, ত্যাগেই সুখ,ভোগে নয়। বাগেরহাট খানজাহান আলী কলেজ মাঠে আপনি বলেছেন জনগনের জন্য আপনি জীবন দিতে প্রস্তুত। জননেত্রী, আপনাকে জীবন দিতে হবে না। আপনি শুধূ সর্বদলীয় সরকার প্রধানের পদটি ছেড়ে দিন, বিরোধী দলকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করুন। এদেশের খেটে খাওয়া কোটি মানুষ আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ:  জনগনের আদালতের রায়ে বিশ্বাস রাখুন। নির্বাচনেই সালিশের রায় পেয়ে যাবেন তালগাছটি আসলে কার!!

মন্তব্য করুন


 

Link copied