স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী ২৩ ফেব্রুয়ারি॥ প্রভাবশালীদের কছে দখলে থাকা নীলফামারী ও ডোমার উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দেওনাই নদীটি দখল মুক্ত ঘোষনা করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার। আজ শনিবার(২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে তিনি দুই উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ও হরিণচড়া ইউনিয়নের শেওটগাড়ি এলাকার দেওনাই নদীর তীরে গিয়ে সহস্রাধীক এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে নদীটি দখল মুক্ত ঘোষনা করেন। এসময় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিতিতে নদী দখলমুক্ত উৎসবে পরিনত হয়।
এসময় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নদীর মালিক দেশের জনগন। কেউ দখল করতে চাইলে তা হতে দেওয়া হবে না। তিনি আলো বলেন, সারাদেশে নদী দখলমুক্ত ও রক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এভাবে হাজার হাজার সাধারন মানুষের নদী দখল মুক্ত উৎসব কোথাও হয় নাই। এটিই দেশে প্রথম। আমরা চাই সারা দেশের মানুষ এভাবেই নদী দখল মুক্ত করতে এগিয়ে আসুক।
দেওনাই নদী দখলমুক্ত করার পর নদীর পাশেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদের সভাপতিত্বে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় জাতীয় নদী কমিশনের সার্বক্ষনিক সদস্য মো: আলাউদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: শাহিনুর আলম, ডোমার উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী নাজমুল ইসলাম নিশাত, শিক্ষক আব্দুল জলিল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দেওনাই নদী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক আব্দুল ওয়াদুদ ও সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিলন জানান, দীর্ঘদিন হতে কিছু প্রভাবশালী নদীর মাঝখানে বাঁশের চাটাই দিয়ে মাছ চাষ করে নদী দখল করে রেখেছিল। এতে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরতে গেলে তাদের মারধর দিয়ে তাদেরেই নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল। এলাকাবাসী জেলেদের সাথে নিয়ে নদী দখলমুক্ত করতে মানববন্ধন, সভা, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে। সর্বশেষ আজ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে নদীটি দখল মুক্ত হলো।
অপর দিকে জেলা প্রশাসেনর সম্মেলন কক্ষে বিকালে জেলা নদী রক্ষা কমিটির বিশেষ সভায় যোগদেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।