আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

উন্নয়নের নতুন ধাপে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, দুপুর ০২:৪৫

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর খননকাজের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পয়েন্টে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকাল ১১টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে চট্টগ্রাম পৌঁছান শেখ হাসিনা। পরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সড়কপথে নিকটস্থ টানেল এলাকায় যান। আজ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর খননকাজের পাশাপাশি লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং প্রকল্পের নির্মাণকাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প দুটির উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় টানেল নির্মাণে শতভাগ সহায়তা করার জন্য চীনের সরকার ও দেশটির রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করলো। টানেলটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে সরাসরি কক্সবাজারের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাসহ যাতায়াতের সময়ও অনেকাংশে কমে যাবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রতিটি জেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে চাই। যেসব এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া সড়ক উন্নয়নেও সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া শহরে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘আমি কাজ করতে চাই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমি তা-ই করবো। তিনি বলেন, ‘দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলবো, যেন সারা বিশ্ব তাকিয়ে থাকে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। দুই টিউবের মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এর সঙ্গে টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied